ইসিকে নজরদারিতে রাখুন: রাজনৈতিক দলগুলোকে সিইসি 

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
27 July, 2022, 01:55 pm
Last modified: 27 July, 2022, 01:59 pm
'নির্বাচনকে বাঁচিয়ে রাখতে না পারলে রাজনীতি বিলীন হয়ে যাবে। একে তখন রাজনীতি বলা যাবে না, গণতন্ত্রও বলা যাবে না'

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকাণ্ডকে নজরদারিতে রাখার জন্য দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

মঙ্গলবার ঢাকায় কমিশনের কার্যালয়ে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি বলেন, "আমি বিশ্বাস করি এটা দরকারি। যদি আপনারা [রাজনৈতিক দলগুলো] আমাদের পক্ষ থেকে কোনো অনিয়ম দেখে থাকেন, তাহলে তা অবিলম্বে জনসমক্ষে প্রকাশ করুন। আমরা কোনোভাবেই পক্ষপাতদুষ্ট হতে চাই না," বলেন সিইসি। 

তিনি রাজনৈতিক দলগুলিকে ভোটের সময় কালো টাকা কীভাবে মোকাবেলা করতে হবে সে বিষয়ে পরামর্শ দিতে বলেছেন।

সিইসি বলেন, "আমাদের বলুন কিভাবে আমরা অর্থ শক্তির সাথে [নির্বাচনের সময়] মোকাবেলা করতে পারি। আমাদের অর্থনীতি উন্নত হয়েছে। আমাদের সকলের বাড়িতে নগদ টাকার ব্যাগ রয়েছে। আমরা নির্বাচনে বিপুল অর্থ ব্যয় করি।"

"এটি খুবই খারাপ এক সংস্কৃতি। আমরা অর্থ ঢালছি। গুন্ডাদের পাশাপাশি পেশাদার খুনিদের ভাড়া করি। এর জন্য অত বেশি খরচও হয় না। এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে আমাদের সবাইকে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে," তিনি যোগ করেন।

সিইসি আরও বলেন, "আমাদের ওপর একটু আস্থা রাখুন। কিন্তু এটা করতে গিয়ে অন্ধ হয়ে যাবেন না। সতর্ক থাকতে হবে।"

"আপনারা যদি এসব বিষয়ে নজর না রাখেন তাহলে আপনারাও নিজেদের দায়িত্ব পালন করছেন না। আপনাদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে অবিলম্বে আমাদের কাছে পাঠান।"

বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি বলেন, "নির্বাচনকে বাঁচিয়ে রাখতে না পারলে রাজনীতি বিলীন হয়ে যাবে। একে তখন রাজনীতি বলা যাবে না, গণতন্ত্রও বলা যাবে না।"

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলে মানুষের ধারণার পরিবর্তন হয়।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, "অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের অর্থ এই নয় যে কোনো অনিয়ম বা ভোট চুরি হবে না। তবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন একটি ভারসাম্য সৃষ্টি করে।"

বিকল্প ধারা বলে, তার ৩০০টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চায়।

নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটিং মেশিন সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে ইসিকে পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

এদিকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) ও বলেছে, তারা জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে। ইভিএমের সাথে একটি 'ভোটার ভেরিফায়েবল পেপার অডিট ট্রেল' সংযুক্ত করার প্রস্তাব করেছে তারা।

জাতীয় নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছে এনপিপি।

তবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বলেছে, তারা জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে চায় না।

নির্বাচনে বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েনের কথা বলেছে দলটি। 
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.