১৩ ঘণ্টা লোডশেডিং ধরে সিলেটে নতুন শিডিউল

বাংলাদেশ

25 July, 2022, 09:20 am
Last modified: 25 July, 2022, 09:48 am
সিলেটে পাঁচটি বিতরণ অঞ্চলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। কেবল বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ নয়, সবগুলো অঞ্চলেই ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং ধরে নতুন সূচি প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।

রোববার সিলেটে লোডশেডিংয়ের নতুন সূচি প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২। নতুন সূচিতে অনেক এলাকায় ১৩ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং রাখা হয়েছে। 

সিলেটে পাঁচটি বিতরণ অঞ্চলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। কেবল বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ নয়, সবগুলো অঞ্চলেই ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং ধরে নতুন সূচি প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।

বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সময়সূচি নির্ধারণ করে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত ১৮ জুলাই এ তথ্য জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন, প্রথমে দিনে ১ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হবে। এতে কাজ না হলে ২ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হবে। 

তবে শুরু থেকেই এমন ঘোষণা মানছে না সিলেট বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ। ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং ধরে প্রথমদিনই সূচি প্রকাশ করে তারা। যদিও নিজেদের প্রকাশিত সূচি না মেনে প্রথম দিন থেকেই অনেক জায়গায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং করা হয়। আর রোববার একেবারে ১৩ ঘণ্টা লোডশেডিং ধরে সূচি প্রকাশ করা হয়। 

দিনের বেশিরভাগ সময় লোডশেডিং ধরে সূচি প্রকাশের তথ্য নিশ্চিত করে বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সামছ-ই-আরেফিন বলেন, 'আমরা চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। রোববার যে চাহিদা রয়েছে তার মাত্র ৩৩ শতাংশ বরাদ্দ পাচ্ছি। এতে শিডিউলের বাইরে গিয়েও আরও অধিক সময় লোডশেডিং করতে হচ্ছে। ফলে মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে।'

তিনি বলেন, 'মানুষজন যাতে আগে থেকেই জানতে পারে সেজন্য ১৩ ঘণ্টা লোডশেডিং ধরে সূচি প্রকাশ করেছি। কিন্তু এটিও প্রাথমিক সূচি। বিদ্যুৎ সরবরাহের উপর ভিত্তি করে লোডশেডিং সূচি থেকেও বাড়তে বা কমতে পারে।'

রবিবার (২৪ জুলাই) এই নতুন সূচি প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২।

রবিবার বিউবো'র বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর শিডিউলে দেখা যায়, তাদের আওতাভুক্ত এলাকাগুলোর বিভিন্ন স্থানে ১৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। 

নতুন শিডিউল অনুযায়ী মহানগরীর বালুচর, আরামবাগ, আল-ইসলাহ, নতুন বাজার, গোপালটিলা, আলুরতল, টিবি গেট, সোনারপাড়া, মজুমদারপাড়া, পূর্ব মিরাবাজার, দর্জিপাড়া, খারপাড়া, কুমারপাড়া, নাইওরপুল, ধোপাদিধীরপাড়, ঝরনারপাড়, কুশিঘাট, নয়াবস্তি, টুলটিকর, মিরাপাড়া, মেন্দিবাগ, সাদাটিকর, নোওয়াগাঁও, শাপলাবাগ, মেন্দিবাগ, হকার্স মাকেট, কালীঘাট, আমজাদ আলী রোড, মহাজপট্রি, মাছিমপুর, ছড়ারপার, উপশহর ব্লক-এইচ, আই, জে, ই, এফ, জি, সাদাটিকর, রায়নগর, ঝর্নারপাড়, দর্জিবন্দ, বসুন্ধরা, খরাদিপাড়া, দপ্তরীপাড়া, আগপাড়া, কাজীটুলা, মানিকপীর মাজার, নয়াসড়ক, বারুতখানা, জেলরোড, হাওয়াপাড়া, চারাদিঘীরপাড়, চালিবন্দর, কাষ্টঘর, সোবহানীঘাট, বিশ্বরোড, জেলখানা, বঙ্গবীর, পৌরমার্কেট, শিবগঞ্জ, টিলাগড়, সবুজবাগ, সেনপাড়া, হাতিমবাগ, লামাপাড়া, রাজপাড়া উপশহর ব্লক-এ, বি, সি, ডি, তেররতন, মেন্দিবাগ পয়েন্ট, ডুবড়ীহাওর, নাইওরপুল, ধোপাদিঘীরপাড়, সোবহানীঘাট, বঙ্গবীর যতরপুর, মিরাবাজার, আগপাড়া, ঝেরঝেরিপাড়া, মীরেরচক, মুক্তিরচক, মুরাদপুর, পীরেরচক এলাকাগুলো ২৪ ঘণ্টায় ১১ থেকে ১৩ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের মধ্যে পড়বে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির বলেন, কেবল বিতরণ বিভাগ-২ নয়, পুরো সিলেটেই এমন অবস্থা। ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং ধরে নতুন সূচি করা হচ্ছে ।

তিনি জানান, কলকারখানা চালু থাকায় দিনে বিদ্যুৎ সরবরাহ কম মিলছে। ফলে দিনে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে। রাতের অবস্থা অপেক্ষাকৃত ভালো।

কাদির বলেন, 'রোববার বিকেলে সিলেট জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিলো ২০০ মেগাওয়াট। কিন্তু ওই সময় আমরা সরবরাহ পেয়েছি অর্ধেকের চেয়েও কম। ৯০ মেগাওয়াট বিদ্যু্ত দিয়ে গ্রাহক সেবা দিতে হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শিডিউল বিপর্যয় ঘটছে। এ কারণে লোডশেডিংয়ের সময় বাড়িয়ে নতুন শিডিউল করা হচ্ছে।'

এদিকে, শহরের চেয়ে গ্রামের অবস্থা আরও খারাপ। গ্রামাঞ্চলে দিনে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা। 

 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.