‘আমাকে কিনে সে টাকায় বাঁধ করুন’, ভাঙা বাঁধে প্ল্যাকার্ড হাতে উপকূলীয় তরুণ

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
18 July, 2022, 03:25 pm
Last modified: 18 July, 2022, 03:30 pm
প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে, আমাকে বিক্রি করব, কিনবেন কেউ? বিনিময়ে... টেকসই বেড়িবাঁধ চাই।
ছবি: টিবিএস

আজ সোমবার (১৮ জুলাই) বেলা একটার দিকে পশ্চিম দূর্গাবাটি এলাকার ভাঙা বাঁধে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে অবস্থান নিয়েছেন এক উপকূলীয় তরুণ জান্নাতুল নাঈম। 

প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে, আমাকে বিক্রি করব, কিনবেন কেউ? বিনিময়ে... টেকসই বেড়িবাঁধ চাই।

প্রতি বছরই কোথাও না কোথাও উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ ভাঙছে সাতক্ষীরায়। লোনা পানিতে ভেসে যাচ্ছে উপকূলীয় জনপদের বিস্তীর্ণ এলাকা, চিংড়ি ঘের, কাকড়া খামার। 

এবার ইউনিয়নের পশ্চিম দূর্গাবাটি এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর ১৫০ ফুট উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে।

ভাঙন কবলিত সেই বাঁধের উপর ব্যতিক্রমী প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন জান্নাতুল নাঈম। শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের খাগড়াঘাট গ্রামের নুরুদ্দীন সরদারের ছেলে তিনি। 

শ্যামনগর সরকারি মহসিন ডিগ্রী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শরুব ইয়ুথ টিমের পরিচালক জান্নাতুল। 

এ ঘটনার নিয়ে জান্নাতুল নাঈম বলেন, সাতক্ষীরা উপকূলীয় এলাকায় প্রতিনিয়তই বেড়িবাঁধ ভাঙে। এই বেড়িবাঁধে যদি অব্যবস্থাপনা থাকে, টেকসই বাঁধ না হয় তবে এ এলাকার মানুষ ভেসে যাবে। 

"লবণাক্ততার কারণে আমাদের জীবন সর্বহারা হচ্ছে। আমি চাই না এই নাজুক বেড়িবাঁধ থাকুক"

ছবি: টিবিএস

"আমি চাই টেকসই বাঁধ হোক। প্রতি বছর যেন লোনা জলে আমাদের ভাসতে না হয়", এভাবেই তার দাবির কথা জানাচ্ছিলেন এ তরুণ। 

হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডের বিষয়ে জান্নাতুল নাঈম বলেন, "এটি বেড়িবাঁধের অব্যবস্থাপনার জন্য একটি প্রতিবাদ স্বরুপ। এখন যদি কর্তৃপক্ষ টেকসই বাঁধ না দিতে পারে তবে আমাকে কিনে বা বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে টেকসই বেড়িবাঁধ করুন। এটাই আমার দাবি।"

এদিকে, গত ১৪ জুলাই ভেঙে যাওয়া সেই বেড়িবাঁধ মেরামতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে। 

আজ সোমবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। 

আগামীকাল অথবা পরদিন বাঁধটি সম্পূর্ণরুপে মেরামত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল খুলনার প্রধান প্রকৌশলী এ.কে.এম তাহমিদুল ইসলাম। 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.