নবীকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তির দায়ে অভিযুক্ত আকাশের ৩ দিনের রিমান্ড

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
17 July, 2022, 07:05 pm
Last modified: 17 July, 2022, 07:10 pm
অভিযুক্ত ছাত্র আকাশের বলছেন তার ফেসবুক আইডি হ্যাক করা হয়েছিল। ওই কমেন্ট করেননি তিনি।

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া এলাকায় হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত কলেজছাত্র আকাশ সাহার (২১) ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার বিকেলে লোহাগড়া আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোরশেদুল আলম এর আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাকফুর রহমান ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক শুনানী শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে আকাশকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। শনিবার (১৬ জুলাই) রাতে খুলনা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

অভিযুক্ত ছাত্র আকাশের বলছেন তার ফেসবুক আইডি হ্যাক করা হয়েছিল। ওই কমেন্ট করেননি তিনি।

লোহাগড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারান চন্দ্র পাল বলেন, 'রাতেই ওই ছাত্র আকাশ সাহা ও তার বাবা অশোক সাহাকে আমরা থানায় নিয়ে এসেছিলাম। সে দাবি করছে, তার ফেসবুক হ্যাক হয়েছিল। পুলিশের সাইবার বিভাগ থেকে তা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

এ ঘটনার গত  ১৬ জুলাই রাতে দিঘলিয়া গ্রামের আব্দুল হালিম সরদারের ছেলে সালাহ উদ্দিন কচি বাদি হয়ে লোহাগড়া থানায় আকাশের নামে 'ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার' মামলা দায়ের করেন। 

তবে সাহাপাড়ার বাড়িঘরে ভাংচুর ও দু'টি মন্দিরে হামলার ঘটনায় রোববার দুপুর পর্যন্ত মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন।

গত শুক্রবার (১৫ জুলাই) কটূক্তিকর মন্তব্যের অভিযোগ উঠিয়ে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় দুপুরে আকাশের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় সহিংস জনতা।

এর পরের দিন লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া গ্রামের সাহা পাড়ায় কয়েকটি হিন্দু পরিবারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

এতে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ওই গ্রামের হিন্দু পরিবারেগুলোর অধিংকাশ সদস্য পাশ্ববর্তী গ্রামগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকলেও তারা আস্থা রাখতে পারছেন না।

এছাড়া সাহাপাড়ার মন্দিরের চেয়ার ও সাউন্ডবক্স এবং আখড়াবাড়ি মন্দিরের টিনের চালা ভাংচুরসহ ইট ছুঁড়েছে সহিংস জনতা। 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও র‍্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে। ঘটনার পর আকাশও তার বাবাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.