সংশয় থাকলেও শেষ মুহূর্তে উৎফুল্ল কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসায়ীরা

ঈদের আগে কাঙ্ক্ষিত পর্যটক আসবেন কি না, এ নিয়ে কক্সবাজারের পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মনে ছিল নানা সংশয়। কিন্তু ঈদের সপ্তম দিন এসে সে শঙ্কা কেটে গেছে। শনিবার শতভাগ পর্যটকের উপস্থিতি দেখে উৎফুল্ল হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ীরা।
পর্যটন সংশ্লিষ্টদের দেয়া তথ্যমতে, শনিবার কক্সবাজার ভ্রমণে আসা পর্যটকের সংখ্যা দেড় লাখের কাছাকাছি। এর আগে শুক্রবার পর্যন্ত সাড়ে ৩ লাখ পর্যটক কক্সবাজার যান।
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী জানান, 'কক্সবাজারে পর্যটক ভ্রমণে আসা মানেই ব্যবসায়ীদের মঙ্গল। এখানে পর্যটক ভ্রমণে এলে আবাসিক হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন চটপটি থেকে শুরু করে সব স্তরের ব্যবসায়ীরা লাভবান হন। এক পরিসংখ্যানমতে এবার ঈদের দিন থেকে শনিবার পর্যন্ত ৭ দিনে ৫ লক্ষাধিক পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন। যেখান থেকে কমপক্ষে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।'
তিনি জানান, অন্যান্যবার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অধিক মুনাফা আদায়ের প্রতিযোগিতায় পর্যটকদের হয়রানির অভিযোগ থাকলেও এবার তা ছিল না। ফলে পর্যটক ও ব্যবসায়ী উভয় পক্ষের মধ্যেই সন্তোষ লক্ষ করা গেছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার জানান, ঈদের আগে শুধুমাত্র ২০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মনে কাঙ্ক্ষিত পর্যটক আসবে কি না এটা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। ঈদের প্রথম ২ দিন
পর্যটকের উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। কিন্তু তৃতীয় দিন থেকে পর্যটক বাড়তে শুরু করে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, যেসব পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন তাদের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানে পুলিশ সর্বোচ্চ সর্তকতার সাথে কাজ করেছে। কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কোনো ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়নি।