রাজশাহীর সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে পিটিয়ে কলেজ শিক্ষককে আহত করার অভিযোগ
গত ৭ জুলাই রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে এক কলেজ অধ্যক্ষকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত সেলিম রেজা গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ। ঘটনার পর তিনি একজন চিকিৎসকের চেম্বারে চিকিৎসা নেন এবং তারপর থেকে তার বাসায় পরিবারের সঙ্গে অবস্থান করছেন।
গতকাল নগরীর রায়পাড়ার নিজ বাসায় সেলিম রেজা অভিযোগ করে বলেন যে, সংসদ সদস্য নিজে তাকে লাঠি দিয়ে পেটান। তার বাম চোখের নিচে, ডান হাতে, বাম পেটে, পেছন দিকে চামড়ায় কালশিটে সাংবাদিকদের দেখান।
তবে সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী তার বিরুদ্বে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সেলিম রেজা অধ্যক্ষদের নিজেদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিতে আহত হয়েছেন।
বুধবার এই প্রতিনিধিকে ওমর ফারুক চৌধুরী ফোনে বলেন, ঘটনার দিন কয়েকজন কলেজ অধ্যক্ষ ওমর থীম প্লাজায় তার ব্যক্তিগত চেম্বারে যান তাদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কথা বলতে।
তিনি বলেন, সেখানে তাদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা হয়। "তারা ধাক্কাধাক্কি করছিলেন, আমি গিয়ে থামিয়েছি। আমার চেম্বারে ঘটেছে বলে আমার নামে দোষ দিচ্ছে।"
"আমার রাজনৈতিক জীবনে কারো গায়ে হাত তোলার কোন ইতিহাস নেই। তাকেও আমি মারিনি। স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে আমার বিরুদ্ধ পরিকল্পিত অভিযোগ আনা হচ্ছে।"
ঘটনার দিন প্রায় ৯ জন অধ্যক্ষ সাংসদের চেম্বারে যান। সেখানে সংসদ সদস্য ফারুক প্রথমেই অধ্যক্ষ সেলিম রেজার কাছে জানতে চান তার কলেজের কতিপয় শিক্ষক একজন অধ্যক্ষ ও দলীয় নেতার স্ত্রীকে জড়িয়ে কথোপকথনের বিষয়ে জানতে চান।
এ নিয়ে এক পর্যায়ে সেলিম রেজাকে মারতে শুরু করেন সংসদ সদস্য ফারুক।
প্রথমদিকে সাহস না পেলেও পরে অন্য অধ্যক্ষরা সেলিম রেজাকে অন্যত্র সরিয়ে নেন।
এমপির হাতে নির্দয় পিটুনির শিকার হলেও অধ্যক্ষ সেলিম রেজা লজ্জা ও আতঙ্কে কোথাও অভিযোগ করেননি।
সেলিম রেজা জানান, তারা গোদাগাড়ীর মাটিকাটা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুল আউয়াল রাজুর কথামতো ঘটনার দিন সাংসদের চেম্বারে যান।
ঘটনার দিন উপস্থিত অন্য অধ্যক্ষদের তিনজনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তারা কেউই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।