কোরবানির পশু বিক্রির বেসরকারি ‘ডিজিটাল হাট’ এখন সরকারি প্ল্যাটফর্ম
হাইলাইট:
- ডিজিটাল হাটে ৯০০-র বেশি স্থানীয় বাজার যুক্ত থাকবে
- পশু পছন্দ না হলে থাকবে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা
- ডিজিটালি পশুর ওজন জানা যাবে ওয়েবসাইট থেকেই
- ডিজিটাল হাটে বিক্রি হওয়া পশুতে কোন হাসিল (কর) দিতে হবে না
কয়েক বছর ধরে ই-ক্যাবের তত্ত্বাবধানে ডিজিটালহাট ডটনেট পরিচালিত হলেও এখন থেকে এই হাটটি সরকারি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এটুআই একশপের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে, যার নতুন ওয়েবসাইট ডিজিটালহাট ডট জিওভি ডট বিডি। এই ডিজিটাল হাটটি কোরবানির পশু ক্রয়ের একটি বড় মাধ্যম।
রবিবার বিকেলে এক জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে এই ডিজিটাল হাটটির উদ্বোধন করা হয়। এই হাটের মাধ্যমে শুধু কোরবানির পশু কেনাবেচাই নয়, স্লটারিং, পরিবহনসহ বিভিন্ন সেবা পাওয়া যাবে। এ বছর থেকে এই হাটটি স্থায়ীভাবে পশু বিক্রি করবে, যেখান থেকে ক্রেতারা সারা বছরই পশু কিনতে পারবেন। আইসিটি বিভাগ, একশপ-এটুআই, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও ই-ক্যাব আয়োজন করছে এই কেন্দ্রীয় অনলাইন কোরবানি পশুর হাটের।
এবারে এই ডিজিটাল হাটে গরু কেনার ক্ষেত্রে আংশিক পেমেন্ট (১০ শতাংশ) করেও পশু ক্রয় করা যাবে। পরবর্তীতে ডেলিভারির সময় বাকি টাকা পরিশোধ করতে হবে। আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক জামালপুরের ইসলামপুর থেকে ৭২ হাজার টাকায় একটি গরু কিনে এই হাটের উদ্বোধন করেন।
মৎস্য ও প্রাণীসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, 'এবারে অনলাইনে পশু পছন্দ না হলে ফেরতের ব্যবস্থা থাকছে, যাতে করে কেউ প্রতারণার শিকার না হয়। অনলাইন ওয়েট ক্যালকুলেটর পদ্ধতি ক্রেতার আস্থার আরও বাড়াবে। পশুর বিস্তারিত ওয়েবসাইটে বাধ্যতামূলকভাবে থাকা উচিত।'
অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রয়ে হাসিল নেওয়া যাবে না। বাড়ি, পথ, খামার বা রাস্তা থেকেও যদি কেউ পশু বিক্রি করে, তাদের কাছ থেকে কোনোভাবেই হাসিল আদায় করা যাবে না বলে জানান মন্ত্রী।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, 'এ বছর ১০ লাখ পশু বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের ওপর যে আস্থাহীনতা, তা এই ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে দূর করার সুযোগ রয়েছে। যে প্রাণীর ছবি দেখানো হচ্ছে সেটাই যাতে দেয়া হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।'
গত বছর এই ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে ৮৫০টির বেশি আঞ্চলিক হাট অনলাইনে যুক্ত করা হয়। যেখান থেকে যুক্ত হয় ১০ লাখ কোরবানির পশু। বিক্রি হয়েছিল তিন লাখ ৮৬ হাজার পশু।
এসক্রো সার্ভিসটি ২০২১ সালে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলেও এবারে সেটি পুরোপুরিভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। এই সেবার মাধ্যমে কারও কোরবানির পশু পছন্দ না হলে তা ফেরত দিতে পারবে এবং টাকা ফেরত নেওয়ার সুযোগ থাকবে।
এবারে গরুর লাইভ ওয়েট, পশুর যে ছবি দেওয়া হবে সেই পশুর ডেলিভারি নিশ্চিত, বিভিন্ন হাটের লাইভ চিত্র দেখা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সেবা পাওয়া যাবে। এবছর ৯শর বেশি হাট ডিজিটাল হাটে সংযুক্ত করা হবে।
জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, 'দুই বছরে যারা হাটে কেনাবেচা করেছেন তারা আরও বেশি আগ্রহী হবেন। লেনেদেনে চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতেও এর সার্ভিস বাড়ানো হয়েছে। সরকারি পেমেন্ট গেটওয়ে একপে এবং ব্যাংক এশিয়ার মাধ্যমে এসক্রো সুবিধা ক্রেতাদের আস্থা বাড়াবে।'