১০ বছরে বজ্রপাতে দুই হাজার ৮০০ মৃত্যু: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী

বাংলাদেশ

ইউএনবি
12 October, 2021, 08:20 pm
Last modified: 12 October, 2021, 08:19 pm
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘৪০ মিনিট আগে মেশিন বজ্রপাত শনাক্ত করতে পারে এবং কোথায় হবে তা বলতে পারে, আমরা এই সতকর্তা দেয়ার মেশিন বসাবো।’

১০ বছরে বজ্রপাতে দুই হাজার ৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।

তিনি বলেন, বজ্রপাতে খোলা মাঠ ও হাওরে বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। ২০১১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বজ্রপাতে দুই হাজার ৮০০ জন মারা গেছেন।

আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২১ উপলক্ষে মঙ্গলবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'বজ্রপাতপ্রবণ এলাকায় বজ্রপাতের আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এক ডেসিমাল জায়গায় একটি পাকা ঘর থাকবে। প্রত্যেকটা ঘরে একটি করে লাইটিনিং অ্যারেস্টার দেয়া হবে, যাতে সতর্কবাতা শোনার ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে মানুষ সেই আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারেন। এছাড়া বজ্রপাত না হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করবেন।

তিনি বলেন, '৪৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নেয়া প্রকল্পটির সম্ভব্যতা যাচাই করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।'

প্রতিমন্ত্রী বলেন, '২০১৫ সালে বজ্রপাতকে দুর্যোগের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। বজ্রপাত যখন হবে মেঘের মধ্যে গুড়গুড় ডাক হবে। এই সময় পজেটিভ-নেগেটিভ চার্জ তৈরি হয়। এই চার্জ তৈরি হওয়ার ৪০ মিনিট পরে বজ্রপাত হয়। এই গুড়গুড় ডাক শুনলে মানুষ যাতে ঘরে থাকে বা মেঘ দেখে যাতে ঘরে থাকে বা সংবাদ মাধ্যমে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে খবর প্রচারিত হলে মানুষ যাতে ঘর থেকে বের না হয় সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা হবে।'

প্রতিমন্ত্রী বলেন, '৪০ মিনিট আগে মেশিন বজ্রপাত শনাক্ত করতে পারে এবং কোথায় হবে তা বলতে পারে, আমরা এই সতকর্তা দেয়ার মেশিন বসাবো।' প্রাথমিকভাবে বজ্রপাতপ্রবণ এলাকা বিশেষ করে হাওর এলাকায় বসানো হবে বলে জানান তিনি।

মো. এনামুর রহমান বলেন, 'অ্যাপের মাধ্যমে যাতে মানুষের মোবাইলে সতর্কবার্তা যেতে পারে সেজন্য অ্যাপ তৈরি করা হবে।' 
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.