হৃদযন্ত্র, কিডনির সমস্যায় জ্বরে ভুগছেন খালেদা জিয়া: ফখরুল

বাংলাদেশ

ইউএনবি
14 June, 2021, 05:25 pm
Last modified: 14 June, 2021, 09:37 pm
তিনি বলেন, ‘আমি চিকিৎসকদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি তিনি (খালেদা জিয়া) হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন। তার ফুসফুসে বারবার পানি জমে যাচ্ছে। চিকিৎসকরা মনে করছেন, তার কিডনি এবং লিভার ঠিকভাবে কাজ করছে না।’

করোনার পরবর্তী অসুস্থায় রাজধানীর এভার কেয়ারে হাসপাতালে চিকিৎসারত বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্র ও কিডনি সমস্যার কারণে বারবার জ্বরে ভুগছেন।

সোমবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা জানান।

তিনি বলেন, 'আমি চিকিৎসকদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি তিনি (খালেদা জিয়া) হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন। তার ফুসফুসে বারবার পানি জমে যাচ্ছে। চিকিৎসকরা মনে করছেন, তার কিডনি এবং লিভার ঠিকভাবে কাজ করছে না।'

ফখরুল আরও বলেন, এসকল সমস্যার কারণেই খালেদা জিয়া বারবার জ্বরে ভুগছেন।

এসময় বিএনপি মহাসচিব এভার কেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং চিকিৎসকদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়া তিনি জানান, চিকিৎসকরা মনে করছেন বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়ার আরও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন।

৭৬ বছর বয়সী বিএনপি নেত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৭ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ভর্তির এক দিন পর ২৮ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।

পরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।

গত ১০ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা পজিটিভের ফল আসে। তিনি ছাড়াও তার বাসার আট সদস্য করোনায় আক্রান্ত হন। ২৪ এপ্রিল খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় দফা করোনা পরীক্ষাতেও ফলাফল পজিটিভ আসে।

২৭ দিন করোনা আক্রান্ত থাকার পর ৮ মে খালেদার করোনা নেগেটিভ আসে।

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার অনুমতি চেয়ে তার পরিবার সরকারের কাছে আবেদন করেছিল। কিন্তু সরকার সেই আবেদনে অনুমতি দেয়নি।

দুর্নীতির মামলায় ২৫ মাস কারাভোগের পর করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে নির্বাহী আদেশে ছয় মাস দণ্ড স্থগিত হওয়ায় গত বছরের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি পান সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।  
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.