সুর-শাহ আলমসহ ৮ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
দেশের অর্থিক খাতের অন্যতম বড় কেলেঙ্কারির হোতা হিসেবে পরিচিতি পাওয়া প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারের সহযোগী হিসেবে নাম আসার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী ও নির্বাহী পরিচালক শাহ আলমসহ আটজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
এই তালিকায় এসকে সুরের স্ত্রী সুপর্ণা সূর চৌধুরী, শাহ আলমের দুই স্ত্রী শাহীন আক্তার শেলী ও নাসরিন বেগম এবং ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়েরি এভিপি আল মামুন সোহাগ, একই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ট্রেজারি অভীক সিনহা ও কোলসিন লিমিটেডের চেয়ারম্যান অতসী মৃধাও রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার আদালতের অনুমতি নিয়ে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে এ নিষেধাজ্ঞা চেয়ে চিঠি পাঠায় সংস্থাটি।
দুদক সূত্র জানায়, বুধবার দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে আকেদন করলে আদালত অনুমোদন দেন।
দুদকের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া পিকে হালদারের একাধিক সহযোগী ১৬৪ ধারায় আদালতে যে জবানবন্দি দিয়েছেন
তাতে এস কে সূর এবং শাহ আলমের নাম উঠে আসে। দুদকের তথ্য বলছে, পিকে হালদারের কাছে প্রতিমাসে মাসোহারা নিতেন শাহ আলম আর পিকের ক্ষমতার উৎস ছিলো এসকে সূর।
সম্প্রতি হাইকোর্ট দুদকের কাছে জানতে চেয়েছে এ দুজনকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত. এর আগে দুদক নিজেরাই পুলিশের বিশেষ শাখায় চিঠি দিয়ে অভিযুক্তদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করত। কিন্তু পিকে হালদারের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিষয়টি নিয়ে আদালতে বেশ কয়েকবার শুনানি হয়।
গত ১৬ মার্চ দুর্নীতি মামলার আসামি বা সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তির বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়ে দুদক নয়, সিদ্ধান্ত নেবেন বিশেষ জজ আদালত এমন অভিমত দেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়ে দুদকের সুনির্দিষ্ট আইন বা বিধি নেই। এ কারণে বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়ে যতদিন আইন বা বিধি প্রণয়ন না হচ্ছে, ততদিন সংশ্লিষ্ট বিশেষ জজ আদালতের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।
পরে দুদকের আবেদনের পরিপ্রে্রিক্ষতে গত রোববার হাইকোর্টের এই আদেশ বহাল রাখেন চেম্বার আদালত।
আগামী ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির কথা আছে।