সিন্ডিকেট সভা মুলতবি, ফের আন্দোলনে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা 

বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
23 October, 2021, 03:05 pm
Last modified: 23 October, 2021, 03:23 pm
শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭ জন আমরণ অনশন শুরু করেছে, বাকিরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে স্থায়ীভাবে অপসারণ না করা পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে। 

চুল কাটার ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা হওয়ার পরও অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা মুলতবি হওয়ায় আবারও আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা।

শনিবার দুপুরে আন্দোলনে অংশ নেয়া সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্য়য়ন বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান জানান, সিন্ডিকেট সভা মুলতবির মাধ্যমে বিষয়টিকে ঝুলিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। অথচ শুরু থেকেই আমরা অভিযুক্ত শিক্ষিকার স্থায়ী অপসারণ দাবি করে আসছি। এ অবস্থায় শুক্রবার রাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে আমরা আবারও আন্দোলন শুরু করেছি। আমাদের মধ্যে ৭জন আমরণ অনশন শুরু করেছে, বাকিরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে স্থায়ীভাবে অপসারণ না করা পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে। 

এ বিষয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার (ভারপ্রাপ্ত ভিসি) আব্দুল লতিফ বলেন, শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত প্রতিবেদনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আরও কিছু তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ বাকি রয়েছে। যে কারণে সিন্ডিকেট সভা মুলতবি করা হয়েছে। খুব শিগগিরই আবারও সিন্ডিকেট সভা বসবে এবং আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ জন্য শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধারণ ও সহযোগিতার আহবান জানান তিনি।      

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সোহরাব আলীর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি।

প্রসঙ্গত, ২৬ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের ১৬ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠে ওই বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিরুদ্ধে। অপমান সহ্য করতে না পেরে ক্ষোভে ২৭ সেপ্টেম্বর নাজমুল হাসান তুহিন নামে এক ছাত্র অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।  

এ ঘটনার প্রতিবাদে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করে একাডেমিক এবং প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ করেন। ওই দিন রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান, সহকারী প্রক্টর ও সিন্ডিকেট সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে সিন্ডিকেট সভা শেষে শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলতেই থাকে। একপর্যায়ে শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে যান শিক্ষার্থীরা। 
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.