সার্কভুক্ত দেশগুলোকে এক হয়ে করোনা মোকাবেলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
15 March, 2020, 07:05 pm
Last modified: 15 March, 2020, 07:13 pm
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস নিয়ে সমন্বিত কর্মসূচি ঠিক করতে রোববার বিকেলে সার্কভুক্ত আট শীর্ষ নেতা ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় ও নাগরিকদের রক্ষা করতে সার্কভুক্ত দেশগুলোর বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে।

বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) নিয়ে সমন্বিত কর্মসূচি ঠিক করতে রোববার বিকেলে সার্কভুক্ত আট শীর্ষ নেতা ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন। সেই কনফারেন্সে ঢাকা থেকে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের প্রস্তাবনায় এই আহ্বান জানান।

ভিডিও কনফারেন্সটি আয়োজনের জন্য শুরুতেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চীনের উহান থেকে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ২৩ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ভারতে নিয়ে কোয়ারেন্টিনে রাখার জন্যও মোদিকে তিনি ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় ও নাগরিকদের রক্ষা করতে সার্কভুক্ত দেশগুলোর বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, করোনা মোকাবেলার পদক্ষেপ হিসেবে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের সমুদ্র-স্থল-বিমানবন্দরে কড়া নজরদারি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে যে তিনজন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল, তাদের প্রত্যেকেই বিদেশ থেকে আসা। তারা ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। নতুন করে শনাক্ত হওয়া দুজন রোগীও বিদেশ থেকে আসা। বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে এখনো কেউ সংক্রমিত হয়নি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় জনগণকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আমরা একটি জাতীয় কমিটি গঠন করেছি। সতর্কতা বাড়ানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছি। যেখানে প্রয়োজন হোম কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সজাগ রয়েছে।'

তিনি বলেন, 'কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালসহ নতুন নির্মিত চারটি হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য রাজশাহীতেও একটি হাসপাতাল প্রস্তুত রয়েছে। সব জেলার সব হাসপাতালে এ রোগীদের চিকিৎসার জন্য পৃথক শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজনে অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণের জন্য কয়েকটি খালি ভবন নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছে। এছাড়া, আমরা উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। স্কুলের শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার জন্যও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে আইসোলেশন গাউন, মাস্ক, ইনফ্রারেড থার্মোমিটার এবং কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র মজুদ করা আছে।'

ভিডিও কনফারেন্সটিতে প্রধানমন্ত্রী জানান, দক্ষিণ এশিয়ায় ভবিষ্যতে যে কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি প্রতিরোধ ও প্রতিহত করার জন্য ইনস্টিটিউশন প্রতিষ্ঠা করা খুব জরুরি। সবাই সম্মত হলে বাংলাদেশ এ পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী বলেও জানান তিনি।

কনফারেন্সটিতে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবে রাজাপাকসে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা জাফর মির্জা।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.