সাতক্ষীরায় ৮৩ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

বাংলাদেশ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
21 May, 2020, 06:40 pm
Last modified: 21 May, 2020, 06:46 pm
আম্পানে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা। সড়কে অসংখ্য গাছ উপড়ে পড়ে উপজেলা সদরসহ ইউনিয়নগুলোর যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। মানুষের ঘরবাড়ি, ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা। সড়কে অসংখ্য গাছ উপড়ে পড়ে উপজেলা সদরসহ ইউনিয়নগুলোর যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। ছিড়ে গেছে বিদ্যুতের লাইন। মানুষের ঘরবাড়ি, ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

জেলার তালা সদর থেকে সাতক্ষীরা জেলা সদরের যোগাযোগের বাইপাস সড়ক পাটকেলঘাটা-তালা সড়ক। ১৩ কিলোমিটার এই সড়কে শতাধিক গাছ পড়ে রাস্তা ব্লক হয়ে গেছে।

ইসলামকাটি ইউনিয়নের সুজনশাহ গ্রামের আবুল কালাম আজাদ জানান, সড়কের মধ্যে শত শত বড় বড় গাছ পড়ে রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। ২-৩ দিন সময় পার হয়ে যাবে সড়ক থেকে এসব গাছগুলো সরিয়ে নিতে।

তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, সড়কের গাছগুলো সরিয়ে নিতে আমরা রাত থেকেই কাজ শুরু করেছি। ইসলামকাটি সড়কটিতে বড় বড় গাছসহ রাস্তার অর্ধেক উপড়ে গেছে। সেজন্য একটু দেরি হচ্ছে। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যেই যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করার চেষ্টা করছি।

উপকূলীয় আশাশুনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ খান জানান, উপজেলার আনুলিয়া, প্রতাপনগর, শ্রীউলা, আশাশুনি, খাজরার কিছু অংশ ও আশাশুনি সদরের কিছু অংশ সম্পূর্ণরূপে প্লাবিত হয়েছে। এসব ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্রধান প্রধান সড়কগুলো থেকে ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে গাছপালা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। 

জেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আব্দুল বাসেত জানান, জেলার সাতটি উপজেলায় ২২ হাজার ৫১৫ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বসে পড়েছে। এছাড়া আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬০ হাজার ৯১৫টি ঘরবাড়ি। সব মিলিয়ে ৮৩ হাজার ৪৩০টি ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলায় আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপন করা হয়নি।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.