শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
09 October, 2019, 08:15 pm
Last modified: 09 October, 2019, 08:25 pm
নির্ধারিত তারিখে তিনি আদালতে হাজির হননি বলে ঢাকার শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান রাহিবুল ইসলাম বুধবার তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন...

শান্তির জন্য ২০০৬ সালের নোবেলজয়ী বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। 

গ্রামীণ কমিউনিকেশনের সাবেক তিন কর্মচারীর দায়েরকৃত মামলার প্রেক্ষিতে, ৮ অক্টোবর অন্য দুই বিবাদীর সঙ্গে তাঁকেও আদালতে উপস্থিত হতে সমন জারি করা হয়েছিল। 

কিন্তু নির্ধারিত তারিখে তিনি আদালতে হাজির হননি বলে ঢাকার শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান রাহিবুল ইসলাম বুধবার ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাটি জারি করেন।

আদালতের বেঞ্চ অফিসার নুরুজ্জামান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

৩ জুলাই একই আদালতে ড. ইউনূসসহ গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের আরও দুজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছিলেন কোম্পানি থেকে চাকরিচ্যূত ওই তিন কর্মচারী।

গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স ড. ইউনূসের নিজের প্রতিষ্ঠান। 

পরে আদালত বিবাদী তিন জনকে ৮ অক্টোবর আদালতে উপস্থিত হতে আদেশ জারি করেন। 

তবে নির্ধারিত দিনে অন্য দুজন আদালতে হাজির হলেও ড. ইউনূস যাননি।

বিবাদী অন্য দুজন হলেন, গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও একই কোম্পানির উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদিন। তারা উভয়েই আদালতে হাজির হয়ে জামিন পান।

মামলার অন্যতম বাদী আবদুস সালাম জানালেন, তিনিসহ কোম্পানির কয়েকজন কর্মচারী ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করেছিলেন। ‘গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন’ নাম দিয়ে তারা একটি ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রেশনের জন্য কোম্পানির মহাপরিচালকের বরাবরে আবেদন করেন এ বছরের ১৬ এপ্রিল।

কিন্তু আবেদনটি গত ৯ জুন প্রত্যাখ্যাত হয়। 

সালাম জানালেন, তারা কর্মচারীদের কল্যাণ চিন্তা থেকে এবং নিজেদের সংগঠিত রাখতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের চিন্তা করেছিলেন। 

তিনি অভিযোগ করেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের জন্য তাদের উদ্যোগের কথা জানার পর থেকেই মামলার বিবাদীরা তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেন। 

এরই পথ ধরে এক পর্যায়ে তাদের কয়েক জনকে চাকরিচ্যুত করা হয় বলে সালামের অভিযোগ। কর্তৃপক্ষ তাদের বরখাস্ত করার সময় কোনো কারণও দেখাননি বলে জানান তারা। 

মামলার অন্য দুই বাদী হলেন, শাহ আলম ও এমরানুল হক। 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.