শয্যা বাড়ানোর পরিবর্তে রোগী কমানোর সময় এসেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
07 August, 2021, 04:10 pm
Last modified: 07 August, 2021, 11:00 pm
এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কোভিড ফিল্ড হাসপাতালের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

হাসপাতালের শয্যা বাড়ানোর পরিবর্তে এখন কোভিড রোগী কমানোর সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শনিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বিএসএমএমইউ'তে  তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, "রোগী অনেক বেড়েছে। আমরা শয্যা বাড়াচ্ছি, ফিল্ড হাসপাতালও বাড়াচ্ছি। কিন্তু তারও একটা সীমা রয়েছে। এখন করোনা রোগী কমানোর সময় এসেছে, শয্যা বাড়ানোর নয়। আমাদের সংক্রমণ কমাতে হবে।"

করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এক হাজার শয্যার ফিল্ড হাসপাতালের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ শনিবার থেকেই সেখানে রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, "ফিল্ড হাসপাতালে ২০ দিনের মধ্যে ৪০০ বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে আইসিইউ শয্যা আছে ৪০টি। বাকি সব শয্যাগুলো সেন্ট্রাল অক্সিজেনের আওতায় রয়েছে। সব ধরনের কোভিড রোগীর জন্য তা উপযোগী। এখানে ১০ হাজার লিটার লিকুইড অক্সিজেন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ট্যাঙ্ক বসানো হয়েছে। টেস্ট করার জন্য ছোট ল্যাবের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই হাসপাতালটি এক হাজার শয্যায় উন্নীত করা হবে।"

মন্ত্রী আরও বলেন, কিছুটা হলেও কোভিড রোগীদের জন্য নতুন একটি  ব্যবস্থা করতে পেরেছি। আমরা চাই না রোগী এসে ভরে যাক। আমরা চাই আমাদের হাসপাতালগুলো আস্তে আস্তে খালি হোক। মানুষ সুস্থ হোক, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাক। সেই চেষ্টা আমাদেরই করতে হবে।"

তিনি আরও বলেন, "আমাদের সংক্রমণ কমাতে হবে। সংক্রমণ হাসপাতাল-ক্লিনিকে তৈরি হয় না। তা রাস্তা-ঘাটে হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না, সংক্রমণের হার বাড়ছে। ডাক্তার-নার্সরা তো পরিবহন খাত নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। ফেরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। কারখানা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে্ন না। আমাদের জনগণের সহযোগিতা দরকার।"

"জনগণ পারবে এই সংক্রমণের হার কমাতে। বিভিন্ন বাহিনীর যারা দায়িত্বে রয়েছেন, পরিবহন খাতে যারা আছেন তারা কন্ট্রোল করতে পারবেন। নেতৃবৃন্দ, ইমাম সাহেবদের প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে সংক্রমণ কমাতে হবে। এখন ইনফেকশন রেট কমানোর সময় এসেছে। হাসপাতালে আর শয্যা বাড়ানোর সুযোগ নাই।"

টিকাদানের বিষয়ে তিনি বলেন, "টিকা আমরা গ্রামে নিয়ে যেতে চাচ্ছি। শহরের মানুষ মোটামুটি টিকা পেয়েছে। গ্রামের বয়স্ক মানুষ সেভাবে টিকা গ্রহণ করেননি। তাদের মধ্যে যেমন অনীহা ছিল তেমন, মৃত্যুও বেশি। তাদের জন্য আমাদের ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন।"

চীন থেকে সিনোফার্মের আরও ছয় কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তি হবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ছয় কোটি ডোজ টিকার মধ্যে দুই কোটি ডোজ আগামী অক্টোবর মাসে ও দুই কোটি ডোজ নভেম্বরে দেশে আসবে। বাকি টিকা পর্যায়ক্রমে পাওয়া যাবে।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.