লকডাউন মানছে না গতবছরের চেয়েও বেশি মানুষ

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
06 April, 2021, 06:15 pm
Last modified: 06 April, 2021, 06:12 pm
লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা ভেঙেই গতবছরের তুলনায় অনেক বেশি মানুষকে ঢাকার রাস্তায় যাতায়াত করতে দেখা যাচ্ছে। এমনকি স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই মাস্ক ছাড়াই ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় অনেককে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে ৭ দিনের জন্য লকডাউন দেওয়া হলেও তা মানছেন না অনেকেই। লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা ভেঙেই গতবছরের তুলনায় অনেক বেশি মানুষকে ঢাকার রাস্তায় যাতায়াত করতে দেখা যাচ্ছে। এমনকি স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই মাস্ক ছাড়াই ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় অনেককে। 

বনানী থানার ওসি লিটন মতিন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, গতবছরের লকডাউনের চেয়েও বেশি মানুষকে এবার রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। 

তিনি বলেন, "অধিকাংশ অফিসই খোলা, সেকারণে ঢাকার রাস্তায় অনেক বেশি মানুষকে যাতায়াত করতে দেখা যাচ্ছে। তবুও আমরা কিছু চেকপোস্ট বসিয়ে মানুষকে থামাচ্ছি এবং জিজ্ঞেস করছি যে তারা জরুরি কাজে বের হয়েছে কিনা।"

ধানমন্ডি ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট ফরহাদ হোসেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, তারা যখন লোকজনকে চেকপোস্টে থামান তখন সবাই বাসা থেকে বের হওয়ার যৌক্তিক কারণই দেখায়। কেউ কেউ অফিসে যাওয়ার কথা বলে আবার কেউ কেউ জরুরি সেবার কাজে যাচ্ছেন বলে জানান তারা।

এই ট্রাফিক কর্মকর্তা বলেন, "জরুরি সেবার সঙ্গে জড়িত না থাকলে আমরা সবাইকে বাসায় ফিরে যেতে বলি।"

তিনি জানান, অনেকেই এইসময় অপ্রয়োজনীয় যাতায়াত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে মতিঝিল এলাকায় একটি ফুটপাতের চিত্র। ছবি: দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড

জনসাধারণের যাতায়াতের বিষয়ে ফরহাদ হোসেনের মতো একই মত দেন মহাখালী জোনের ট্রাফিক সার্জেন্ট মহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, লকডাউন সত্বেও অধিকাংশ সরকারি এবং বেসরকারি অফিসই খোলা। তাই বাধ্য হয়েও চাকরিজীবীদের তাদের কর্মক্ষেত্রে যাওয়া লাগছে।  

তিনি বলন, "দেখে মনে হচ্ছে গণপরিবহন ছাড়া আর সবকিছুই চলছে। তাই আমরা শুধু খেয়াল রাখছি, লোকজন সামাজিক দূরত্ব মানছে কিনা।"

তিনি আরও বলেন, লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা না মানায় মঙ্গলবার সকাল থেকে চারটি মামলা দায়ের হয়েছে। 

"স্বাস্থ্যবিধি না মেনে প্রাইভেট কার কিংবা সিএনজিতে করে ৩-৪ জন করে গেলে আমরা মামলা দিচ্ছি।"

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাতিরঝিলের একজন ট্রাফিক কর্মকর্তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, লকডাউনে গতবারের মতো কঠোর হতে এবার তাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, "গতবারের মতো কর্মক্ষেত্রগুলো বন্ধ না থাকায় এবার রাস্তাঘাটে বেশি মানুষ দেখা যাচ্ছে। আমরা শুধুমাত্র সামাজিক দুরত্বের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি।"

দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ভয়াবহভাবে বাড়তে থাকায় গত সোমবার থেকে একসপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন দেয় সরকার। গতবছরের তুলনায় কিছুটা শিথিল এই লকডাউনে সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধের পাশাপাশি শপিংমলগুলোও বন্ধ রাখতে বলা হয়। 
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.