লকডাউনের মধ্যে সীমিত আকারে চলবে ব্যাংকের কার্যক্রম

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
20 April, 2021, 04:05 pm
Last modified: 20 April, 2021, 04:04 pm
'মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২০ এপ্রিলের প্রজ্ঞাপনের প্রেক্ষিতে ব্যাংকিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সীমিত আকারে ব্যাংকের লেনদেন সময়সীমা ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হলো।'

সর্বাত্মক লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোয় সীমিত আকারে ব্যাংকের লেনদেনও ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত  বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে সার্কুলার ইস্যু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন (ডিওএস)।

ডিওএস-এর মহাব্যবস্থাপক অনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই সার্কুলারে বলা হয়, 'মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২০ এপ্রিলের প্রজ্ঞাপনের প্রেক্ষিতে ব্যাংকিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সীমিত আকারে ব্যাংকের লেনদেন সময়সীমা ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হলো।'

চলমান সর্বাত্মক লকডাউনে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি ব্যতীত সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সীমিত আকারে ব্যাংকিং লেনদেন চলছে। তবে লেনদেন সংক্রান্ত আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যাংকারদের দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত অফিসে থাকতে হচ্ছে।  

সর্বাত্মক লকডাউনে সীমিত আকারে ব্যাংক চালু রাখার নির্দেশনা গত ১৩ এপ্রিল দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, বিধি-নিষেধ চলাকালে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ অনুমোদিত সকল  ডিলার (এডি) শাখা ও জেলা সদরে অবস্থিত ব্যাংকের সদর শাখা খোলা রাখতে হবে।

এছাড়া সিটি কর্পোরেশন এলাকার প্রতি দুই কিলোমিটারের মধ্যে একটি শাখা (এডি শাখা খোলা না থাকলে) খোলা রাখতে হবে। অন্যদিকে উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি ব্যাংকের একটি শাখা রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার খোলা রাখতে হবে। 

এছাড়া সমুদ্র, স্থল, বিমান বন্দর এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখা-উপশাখা, বুথসমূহ সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। তবে স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্দর, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনে যথাযথ ভূমিকা গ্রহণ করবেন।

গ্রাহকের হিসাবে সব ধরনের লেনদেন সুবিধা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমের ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন সকল লেনদেন সুবিধা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

সীমিত জনবল দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার নির্দেশেনা দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারি স্ব স্ব অফিসে আনা-নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়।

এদিকে, নগদ টাকার যাতে সংকট না হয় সেজন্য এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি বুথ থেকে দৈনিক  টাকার তোলার সীমা ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করা  হয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট পয়েন্টে যথেষ্ট পরিমাণে নগদ টাকা রাখাও নির্দেশনা দেওয়া হয়।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.