রোববারের মধ্যেই স্বাভাবিক হবে ইলেকট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার
আগামী রোববারের মধ্যে ইলেকট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার (ইএফটি) সমস্যার সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা।
গত ১৩ এপ্রিল থেকে সার্ভার ত্রুটির কারণে ব্যাংকে আর্থিক লেনদেনে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়।
আজ (১৫ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, ২১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনে ব্যাংক বন্ধ থাকার ঘোষণায় কর্মকর্তারা ব্যাংকিং সফটওয়্যারে পরবর্তী লেনদেনের তারিখ হিসেবে ২২ এপ্রিল নির্ধারণ করেন।
পরবর্তীকালে, লকডাউন চলাকালে ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রী পরিষদ। কিন্তু প্রযুক্তিগত বাধার কারণে কর্মকর্তারা সফটওয়্যারের আগের নির্দেশনা বাতিল করতে ব্যর্থ হন।
এছাড়া, বিটিসিএলের সংযোগ ত্রুটির কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুটি ডেটা সার্ভার কাজ করছে না। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউজের (ব্যাচ) কার্যক্রমও ব্যাহত হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা। 'এ কারণে ইএফটি সেবা পুনর্বহালেও বিলম্ব হচ্ছে,' বলেন তিনি।
তবে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি টিম সমস্যা নিরসনে কাজ করতে থাকায় রোববারের মধ্যেই ইলেকট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার সেবা পুনরায় চালু করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
১২ এপ্রিল সরকার করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সাত দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে। নির্দেশনা অনুযায়ী, সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা বলা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকও একই দিনে লকডাউন চলাকালে ব্যাংক বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়।
তবে পরদিন মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের নতুন এক নির্দেশনা অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংক পুনরায় লকডাউনে সীমিত আকারে সকল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ প্রদান করে।
লকডাউনে আর্থিক লেনদেনের জন্য সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকছে। তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।