রাসেল, তার স্ত্রী ও ইভ্যালির আরও ২৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এবার সাপ্লাইয়ারের মামলা

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
19 September, 2021, 01:50 pm
Last modified: 19 September, 2021, 06:13 pm
'সাপ্লাইয়ার কামরুল ইসলাম চাকলাদার রাজধানীর ধানমন্ডি পুলিশ স্টেশনে শনিবার রাতে ৩৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।'

এক গ্রাহকের দায়ের করা মামলায় ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন গ্রেপ্তার হওয়ার দু'দিন পর এই দম্পতি ও তাদের মালিকানাধীন বিতর্কিত ই-প্ল্যাটফর্মের আরও ২৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এবার এক সাপ্লাইয়ার মামলা করেছেন।

'সাপ্লাইয়ার কামরুল ইসলাম চাকলাদার রাজধানীর ধানমন্ডি পুলিশ স্টেশনে শনিবার রাতে ৩৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি করেন,' বলে রোববার সকালে জানিয়েছেন ধানমন্ডি জোনের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার আবদুল্লাহ আল মাসুম।

মামলায় ওই সাপ্লাইয়ার ইভ্যালির ১২ জন কর্মকর্তার নাম উল্লেখ-সহ আরও ১৫-২০ জন অজ্ঞাতনামাকে অভিযুক্ত করেন।

মামলায় অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- ইভ্যালির ভাইস প্রেসিডেন্ট আকাশ, ম্যানেজার জাহেদুল ইসলাম হেময়, সিনিয়র অ্যাকাউন্টস ম্যানেজার তানভীর আলম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ কমার্সিয়াল জাওয়াদুল হক চৌধুরী, হেড অব অ্যাকাউন্টস সেলিম রেজা, অ্যাকাউন্টস ম্যানেজার জুবায়ের আল মাহমুদ, অ্যাকাউন্টস অফিসার সোহেল, আকিবুর রহমান তুর্য, রাসেলের পিএস মো. রেজওয়ান, বাইক ডিপার্টমেন্টের শাকিব রহমান।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ওই সাপ্লাইয়ারের কাছ থেকে প্রায় ৩৬ লাখ টাকার পণ্য নেওয়া হলেও পাওনা পরিশোধ করেনি ইভ্যালি।


আরও পড়ুন: ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যান ৩ দিনের রিমান্ডে


জানুয়ারি পর্যন্ত কোনো টাকা দেওয়া না হলেও তাকে মে মাসে ৩০ জুন তারিখের একটি চেক দেওয়া হয়। চেকে উল্লেখিত অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় সেই চেক দুইবার 'বাউন্স' করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন ওই সাপ্লাইয়ার।

এ অবস্থায় তিনি ২৯ আগস্ট ইভ্যালির কাছে চিঠি পাঠালেও কোনো সাড়া পাননি। পরে ইভ্যালি তাকে জানায়, ৩০ দিনের মধ্যে তার পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হবে। তারপর থেকে ওই কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তিনি।


আরও পড়ুন: ইভ্যালি: পঞ্জি স্কিমের অগ্রদূতের উত্থান ও পতন


এ প্রসঙ্গে গত ১২ জানুয়ারি ধানমন্ডি মডেল পুলিশ স্টেশনে একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করা হলেও ইভ্যালির পক্ষ থেকে সাপ্লাইয়ারের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা হয়নি। তিনি ইভ্যালির অফিসে গেলে তার সঙ্গে ওই প্ল্যাটফর্মের কর্মকর্তারা দুর্ব্যবহার করেন, এমনকি তাকে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন কামরুল।


আরও পড়ুন: ইভ্যালির মতো দুনিয়া কাঁপানো যত পঞ্জি স্কিম!


অর্থ আত্মসাৎ এবং হুমকির অভিযোগে ৪২০/৪০৬/৫০৬ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

এর আগে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান পুলিশ স্টেশনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর ওই দম্পতির মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। তারা এখন তিনদিনের পুলিশ রিমান্ডে রয়েছেন।

এদিকে, রাসেল ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের পরদিন র‍্যাব এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, ইভ্যালির কাছে গ্রাহক ও সাপ্লাইয়ারদের পাওনা ১,০০০ কোটি টাকারও বেশি।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.