রাজশাহীতে মায়ের কবরের পাশে চিরশায়িত হলেন এন্ড্রু কিশোর

বাংলাদেশ

রাজশাহী প্রতিনিধি
15 July, 2020, 01:25 pm
Last modified: 15 July, 2020, 04:00 pm
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর মহানগরীর কালেক্টরেট মাঠের পাশে অবস্থিত খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

বাংলা চলচ্চিত্রের প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোরকে তার শেষ ইচ্ছানুযায়ী জন্মস্থান রাজশাহীতে সমাহিত করা হয়েছে। 

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর মহানগরীর কালেক্টরেট মাঠের পাশে অবস্থিত খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। সেখানে তার মা, বোন ও ভাইয়ের কবর রয়েছে।

এর আগে সকাল ৯টায় তার মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘর থেকে নেওয়া হয় রাজশাহী সিটি চার্চে। সেখানে শেষকৃত্যানুষ্ঠান শেষে রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সব শ্রেণি পেশার মানুষ তাদের প্রিয় শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা, জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, গীতিকার ও সুরকার ইথুন বাবুসহ সংগীত ও চলচ্চিত্র অঙ্গনের শিল্পী কলাকুশলী ও এন্ড্রু কিশোরের বন্ধুবান্ধবরা। 

এর আগে মঙ্গলবার রাতে রাজশাহী সিটি চার্চের সামনে প্রস্তুত করা হয় এন্ড্রু কিশোরকে শ্রদ্ধা জানানোর মঞ্চ। তার স্ত্রী লিপিকা এন্ড্রু, ছেলে জয় এন্ড্রু সপ্তক ও মেয়ে মিনিম এন্ড্রু সংজ্ঞাসহ ঘনিষ্ঠজনরা তার মঞ্চ তৈরি করেন।

এন্ড্রু কিশোরের ভগ্নিপতি ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস জানান, এন্ড্রু কিশোর মারা যাওয়ার আগে তার ছেলেমেয়ের খোঁজখবর নিচ্ছিলেন। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি মারা গেলেও তার ছেলেমেয়ের শেষ দেখার জন্য যেন অপেক্ষা করা হয়। তার শেষ ইচ্ছানুযায়ীই তার ছেলেমেয়ের দেখার জন্য এতদিন অপেক্ষা করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া থেকে গত বৃহস্পতিবার তার ছেলে ও সোমবার তার মেয়ে রাজশাহীতে এসেছে।

তিনি আরো জানান, শুরুতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো হিমঘর থেকে মরদেহ চার্চে নেওয়ার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী কলেজে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের শ্রদ্ধার জন্য রাখা হবে। ৯ দিন মরদেহ হিমঘরে রাখার কারণে মরদেহ পচে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে পরে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়। পরে আজ রাজশাহী সিটি চার্চ সর্বজন মানুষ শ্রদ্ধা জানান। এরপর তাকে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।

দীর্ঘ ১০ মাস ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করে গত ৬ জুলাই সন্ধ্যায় রাজশাহীর মহিষবাথান এলাকায় তার বোনের বাসায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এন্ড্রু কিশোর।
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.