রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষিকা স্বপদে বহাল

বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
29 November, 2021, 10:05 am
Last modified: 29 November, 2021, 01:31 pm
গত ২৬ সেপ্টেম্বর প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় ১৪ জন শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেন বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চুল কাটার ঘটনার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ রোববার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে একাডেমিক ভবনের নোটিশ বোর্ডে টানানো হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন তাতে স্বাক্ষর করেছেন ২১ নভেম্বর।

নোটিশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষা কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই শিক্ষার্থীদের পাঠদান, পরীক্ষা গ্রহণসহ অন্যান্য যাবতীয় একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে প্রভাষক ফারহানা ইয়াসমিনকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় ১৪ জন শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেন বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন। ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করলে ৩টি প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। এরপর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটি তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষিকা ফারহানার বিরুদ্ধে স্থায়ী বরখাস্তের সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরাও তাকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন চালাতে থাকে।

এ পরিস্থিতিতে ২৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) একটি প্রতিনিধি দল সরেজমিন তদন্তে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। 

ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক জামিলুর রহমান এবং সহকারী পরিচালক আবু ইউসুফ হীরা সরেজমিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলেও এ দলের প্রধান ইউজিসির সদস্য প্রফেসর দীল আফরোজা ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। 

ইউজিসির প্রতিনিধি দলটি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী, অভিযুক্ত শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া চার সদস্য, তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভাগীয় চেয়ারম্যান ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির সাথেও কথা বলেন। এর এক মাস পর রবিবার নোটিশ বোর্ডে টানানো হলো প্রভাষক ফারহানা ইয়াসমিনকে স্বপদে বহালের এই আদেশ।
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.