মালিকদের অমানবিকতা: না খেতে পেয়ে মরছে কক্সবাজার সৈকতের ঘোড়া!  

বাংলাদেশ

19 June, 2021, 02:20 pm
Last modified: 19 June, 2021, 02:40 pm
সারাদিন সৈকতে ঘোরানোর পর আয়ের সময় শেষ হলে রাতে বেওয়ারিশের মতো ছেড়ে দেয়া হয় ঘোড়াগুলোকে। ডাস্টবিনের উচ্ছিষ্ট ও ক্ষতিকর পদার্থ খেয়ে রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে এসব ঘোড়া।

নব্বই দশকের পর থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটন বিনোদনের অনুষঙ্গ ঘোড়া। হাতেগোনা কয়েকটি ঘোড়া দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও সময়ের পরিক্রমায় ঘোড়ার সংখ্যা শতকের ঘর ছাড়ায়। বিনোদনের পাশাপাশি রাজকীয় এ প্রাণীটি পর্যটন বাণিজ্যের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মৌসুমভেদে আয়ের তারতম্য হলেও পর্যটনের ৭-৮ মাস সময়ের আয় হিসাবে ঘোড়া থেকে দৈনিক গড় আয় আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকা। সেই হিসাবে বিনোদন দিয়েই একটি ঘোড়ার মাসিক আয় ৭৫ থেকে ৯০ হাজার টাকা। বালিয়ারিতে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের অনেকে, বিশেষ করে শিশুরা ঘোড়ার পিঠে চড়ে চলা কিংবা ছবি তুলে ঘোড়া চালককে চুক্তিভিত্তিক যে টাকা দেয় তা থেকেই এ আয় হয়।

কিন্তু অভিযোগ রয়েছে উপকারী, রাজকীয় নিরীহ এ প্রাণীর মাধ্যমে আয়ের উপর ঘোড়ার মালিক আয়েশি জীবন কাটালেও পরিচর্যায় চরম অবহেলার খড়গ জুটে ঘোড়াগুলোর কপালে। ঠিকমতো খাবারই দেয়া হয় না নিরীহ এ প্রাণীকে।

ডাস্টবিনের উচ্ছিষ্ট ও ক্ষতিকর পদার্থ খেয়ে রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যায় অনেক ঘোড়া। আবার সারাদিন সৈকতে ঘোরানোর পর আয়ের সময় শেষ হলে রাতে বেওয়ারিশের মতো ছেড়ে দেয়া হয় ঘোড়াগুলোকে। আবার এখানে ওখানে ডাস্টবিন বা খাবার খুঁজে বেড়াতে গিয়ে ড্রেনে পড়ে, যানবাহনের ধাক্কায় আহত হয়ে অসুস্থ হয়। পরে চিকিৎসা দিলেও অনেক ঘোড়া মারা যায়।

এসব কথার সত্যতা স্বীকার করে নব্বই দশকে সৈকতে প্রথম ঘোড়া নামানো কক্সবাজার পৌরসভার বাহারছরা গোলচক্কর মাঠ এলাকার বাসিন্দা জানে আলম বলেন, 'ঘোড়া রাজকীয় বাহন, উপকারী প্রাণী। তাই এর পরিচর্যাও উচ্চমার্গীয় হওয়া বাঞ্ছনীয়। সিনেমায় বিস্তীর্ণ বালিয়ারিতে ঘোড়া নিয়ে দৌড়ানোর দৃশ্য বিমোহিত করায় শখের বশে ঘোড়া কিনেছিলাম। এটা আয়ও দিচ্ছে দেখে ধীরে ধীরে ঘোড়ার সংখ্যা বেড়ে ২০টি হয়েছিল। ঘোড়াকে সকাল বিকেল ছোলা, কাঁচা খড় খাওয়াতে হয়। প্রতিদিন পরিচ্ছন্নভাবে গোসল করানোসহ রাজকীয় পরিচর্যা দরকার এই প্রাণির। একজন মানুষ এদের পেছনে সার্বক্ষণিক নিয়োগ দিতে হয়'।

'তখন সৈকত এলাকার পর্যটন গলফ মাঠে প্রচুর খড় হতো। বিগত এক যুগ আগে হতে খড়ের সেই স্থানগুলো নানা উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত হয়ে খড়ের ক্ষেত্র বিনষ্ট হওয়ায় ধীরে ধীরে ঘোড়া পালন থেকে সরে এসেছি। বাচ্চাদের শখ মেটাতে একটি মাত্র ঘোড়া প্রতিপালন করা হচ্ছে এখন'।

জানে আলম আরো বলেন, 'আমার ঘোড়ায় আয় দেখে অনেকে ঘোড়া কিনে ব্যবসায় লাগিয়েছেন এবং এখনো লাগাচ্ছেন। কিন্তু কেউ নিরীহ এ প্রাণীটিকে উপযুক্ত পরিচর্যা করছেন না। সারাদিন আয় করানো ঘোড়াটি সন্ধ্যায় বেওয়ারিশের মতো ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।  ক্ষুধার্ত ঘোড়াগুলো যেখানে যা পায় খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করে। পর্যাপ্ত কাঁচা খড় না পেয়ে ক্ষুধা কমাতে সিংহভাগ সময় পৌরসভার ডাস্টবিনেই খাবার খুঁজে ঘোড়াগুলো। সেখানে বাসি, উচ্ছিষ্ট খেয়ে অনেক ঘোড়া অসুস্থ হয় এবং মারাও যায়। সম্প্রতি কয়েকটি ঘোড়ার মৃত্যু নিয়ে অনুসন্ধানে গিয়ে এসব তথ্য সামনে আসে। বিগত এক দশকে ঘোড়ার আয়ে অনেকে গাড়ি-বাড়ির মালিক হয়েছেন। গড়ে তুলেছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। কিন্তু যার মাধ্যমে আয়, সেই নিরীহ প্রাণীটির সাথে চরম প্রতারণা করা হচ্ছে'।

এদিকে, করোনা সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধের কারণে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটক নিষিদ্ধ। তাই আয় দিতে না পারায় বেওয়ারিশের মতো ছেড়ে দেয়া ঘোড়াগুলোর খোঁজ পারতপক্ষে নেয়-ই না মালিকরা। আয় দিতে পারায় যতসামান্য যে খাবার ও পানীয় দেয়া হতো তাও বন্ধ। রাস্তা ও খোলা মাঠই ঘোড়াগুলোর ঠিকানা এখন। ফলে অযত্ন, অবহেলায় নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অধিকাংশ ঘোড়া। সৈকতে পর্যটকদের বিনোদন বাণিজ্যে এখন ৬৫টি ঘোড়া ব্যবহার হয়ে আসছে। একেকটি ঘোড়ার দাম ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।

ঘোড়া মালিক সমিতির দাবি, চলমান লকডাউনে ৬টি ও গত বছর লকডাউনে ২০টিসহ মোট ২৬টি ঘোড়া খাদ্যের অভাবে মারা গেছে। দুই ডজনের বেশি ঘোড়া মারা গেলেও এ বিষয়ে কিছুই জানে না বলে দাবি করেছে প্রশাসন। কিছু গণমাধ্যমে ঘোড়ার এ অসামঞ্জস্যপূর্ণ মৃত্যু সংবাদ প্রচারের পর সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য। সৈকত সংক্রান্ত অনেকেই এত ঘোড়ার মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

৫৫টি ঘোড়ার মালিক নিয়ে ২২ জন সদস্য বিশিষ্ট 'কক্সবাজার ঘোড়া মালিক সমিতি' নামের একটি সমিতি রয়েছে। সমিতির বাইরে আরও ১০টিসহ মোট ঘোড়া ৬৫টি। এসব ঘোড়ার পিঠে চড়ে, ছবি তুলে নানাভাবে বিনোদন উপভোগ করেন পর্যটকরা।

সৈকতে ঘোড়া নিয়ে ব্যবসা করা পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমির হোসেন বলেন, 'না খেয়ে ঘোড়া মারা যাবার তথ্যটি সঠিক নয়। আমাদের পরিবারে চার জনের মালিকানায় ১২টি ঘোড়া ছিল। গত দুদিন আগে আমার পালিত তিনটি ঘোড়ার একটি মারা যায়। লকডাউনে ছেড়ে দেয়ার পর হয়তো কোন ডাস্টবিনে বিষাক্ত কিছু খেয়েছিল। ঘোড়াটি রাস্তার ধারে পড়ে আছে জেনে বাড়ি নিয়ে আসি। দেড় হাজার টাকা ভিজিটে জেলা প্রাণী সম্পদের চিকিৎসক এনে পরীক্ষা করে দেখি ঘোড়াটির ১০৪ ডিগ্রি জ্বর। অনেক ইনজেকশন ও পথ্য দিয়েও বাঁচানো যায় নি ঘোড়াটিকে'।

আমির হোসেন আরো বলেন, 'গত বছরের লকডাউনে আমাদের পরিবারের মালিকানাধীন ৮টি ঘোড়া মারা যায়। তখনও ছেড়ে দেয়া ঘোড়াগুলোর কয়েকটি রাতে চলতে গিয়ে ড্রেনে পড়ে মারা গেছে। আর কয়েকটি রাতের বেপরোয়া যানবাহনের (ট্রাক-ডাম্পার-কাভার্ড ভ্যান) ধাক্কায় আহত হয়ে মারা যায়। প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে ঘোড়ার পরিচর্যার বিষয়ে কখনো পরামর্শ দেয়া হয় না। কী খাওয়াতে হবে, কত পরিমাণ খাওয়াতে হবে এসব বিষয়ে আমরা অবগত নই। অনেকে ৩০-৫০ হাজার টাকায় ঘোড়া কিনে লগ্নি করা টাকা তুলতে মরিয়া হন বলে অন্যদিকে নজর দেন না। আবার আয় না থাকলে ঘোড়ার জন্য বাড়তি খরচ করাও কষ্টকর'।

বীচ সংশ্লিষ্টদের মতে, সৈকতের পর্যটকদের বিনোদন দিয়ে প্রতি বছর পর্যটন মৌসুমে (সেপ্টেম্বর- মার্চ) দিনে গড়ে একটি ঘোড়া দিয়ে আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত মালিকরা আয় করে থাকেন। সে হিসাবে একটি ঘোড়া দিয়ে এক মৌসুমে আয় প্রায় ৫-৬ লাখ টাকা। এর বাইরেও ঘোড়ার গাড়ি, বিয়ে ও বিভিন্ন উৎসবে ঘোড়াগুলোর ব্যবহার হয়। যার বিনিময়ে ঘোড়া মালিকরা টাকা পান।

ঘোড়ার মালিকদের তথ্যমতে, একটি ঘোড়ার খাবারের পেছনে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ টাকা খরচ হয়; সে হিসেবে বছরে লাখখানেক টাকা ব্যয় হয় একটি ঘোড়ার পেছনে। কিন্তু স্বাস্থ্য দুর্যোগের কারণে সৈকতসহ বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকায় অন্যান্য পর্যটন ব্যবসায়ীদের মত নিত্য আয় হতে বঞ্চিত হচ্ছেন ঘোড়া মালিকরা।

ঘোড়া মালিকদের দাবি, আয় বন্ধ তাই কিনে খাবার দেয়ার সামর্থ্য না থাকায় ঘোড়া রাস্তায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

কিন্তু পর্যটন সংশ্লিষ্টদের দাবি, ঘোড়ার আয়ে মালিকদের অনেকেই গাড়ি-বাড়ির মালিক হয়েছেন। গড়েছেন বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া প্রায় সব ঘোড়ার মালিকই সচ্ছল। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ঘোড়ার মালিক বলেন, লকডাউনে খাদ্য না দিয়ে ঘোড়া রাস্তায় ছেড়ে দিলেও বেশ কয়েকজন ঘোড়ার মালিক আছে যারা, মাদক সেবন ও নিজেদের জলসায় নারী এনে ফুর্তি করেন নিয়মিত। সারাদিন বাইক নিয়ে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতেও দেখা যায় তাদের।

তার দাবি, হাতে-গোনা কয়েকজন ছাড়া সবারই ঘোড়াকে খাবার দেয়ার সামর্থ্য রয়েছে। এরপরও মালিকরা ঘোড়ার প্রতি অমানবিক আচরণ করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, করোনায় আয় বন্ধ থাকার অজুহাতে ঘোড়ার খাবার না দিলেও আইপিএল ক্রিকেট নিয়ে জুয়ায় বাজি ধরে সমিতি পাড়ার দুইজন ঘোড়ার মালিক লাখ লাখ টাকা খুইয়েছেন।

ঘোড়ার আয় দিয়ে অনেকেই জায়গা কিনে বাড়ি ঘর তৈরি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন স্বীকার করে ঘোড়া মালিক সমিতির সভাপতি আসান উদ্দীন নিশান বলেন, 'আমি নিজেও ঘোড়ার আয় দিয়ে সংসারের খরচ বহনের পাশাপাশি এক ভাইকে বিয়ে করিয়েছি, বোনের বিয়ে দিয়েছি'।

পর্যটন মৌসুমে টানা কয়েক মাস ঘোড়াপ্রতি আড়াই হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা আয়ের কথা অকপটে মেনে নিলেও আয় বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ ঘোড়ার মালিকের খাবার যোগান দেওয়ার সামর্থ্য নেই বলে দাবি করেন তিনি।

২৬টি ঘোড়া মারা গেলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে কেন অবগত করা হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'তখন বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে ভাবা হয়নি'।

কক্সবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা ডা. অসীম বরণ সেন বলেন, 'ঘোড়ার মৃত্যু নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। খাদ্যের অভাবে ঘোড়া মারা যাওয়ার বিষয়টি সত্য নয়। আমার জানা মতে, গত এক বছরে তিনটি ঘোড়া মারা গেছে। তাও বার্ধক্যজনিত ও নানা অসুস্থতার কারণে আমরা ঘোড়া মালিকদের খাদ্য সহায়তা দিয়েছি। আগামীতেও এ সহায়তা অব্যাহত থাকবে'।

তিনি আরও বলেন, এরপরও বিভিন্ন মিডিয়ায় খবরটি আসার পর প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। উক্ত কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। কমিটিতে কক্সবাজার প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. নেবু লাল দত্তকে প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন কক্সবাজার প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কর্মকর্তা ডা. মিজবাহ উদ্দিন কুতুবী ও ডা. এহসানুল হক। 

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের (পর্যটন ও প্রটোকল) সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ ইসলাম বলেন, 'সৈকতে পর্যটকদের বিনোদনের জন্য ২২ জন ঘোড়া মালিককে অনুমতি দেয়া হয়েছে। যে পরিমাণ ঘোড়ার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করা হচ্ছে, এর কোন তালিকা আমাদের কাছে নেই। মালিকরাও কখনো এ বিষয়ে আমাদের জানায়নি'।

তিনি আরও বলেন, 'করোনার সংক্রমণ রোধে সৈকত ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখা হলে ঘোড়া মালিকদের আয় বন্ধ হয়ে যায় এবং ঘোড়াগুলো খাদ্য সংকটে পড়ে। এজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভূষি ও ছোলা বিতরণ করা হয়। খাদ্য সংকট থাকার কথা নয়'।

'আমরা কক্সবাজারবাসী'  সংগঠনের কর্মকর্তা মহসীন শেখ বলেন, 'ঘোড়ার মালিকদের অমানবিক আচরণে আমরা ক্ষুব্ধ। নিরীহ প্রাণীটিকে আয়ের বাহন বানিয়ে মালিকরা লাখ লাখ টাকা আয় করেছে। কিন্তু সংকটে ঘোড়াগুলোকে বেওয়ারিশের মতো ছেড়ে দিয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি করা হচ্ছে। নিরীহ প্রাণীর সাথে এমন আচরণে ঘোড়ার মালিকদের আইনের আওতায় আনা উচিত'।

এদিকে কক্সবাজার সৈকতের ঘোড়াগুলোর খাদ্য সংকটের খবরে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি ৫৫টি ঘোড়ার জন্য মালিকদের হাতে এক মাসের খাদ্য সহায়তা তুলে দিয়েছে। এরপরও এখনো বেওয়ারিশের মতো ঘুরছে অনেক ঘোড়া। 
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.