মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ঢাকায় আসছেন আজ

বাংলাদেশ

ইউএনবি
14 October, 2020, 11:40 am
Last modified: 14 October, 2020, 11:40 am
মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করবেন।

কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব ও যৌথ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার বিকালে বাংলাদেশে আসবেন যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই বিগান।

ভারতের নয়াদিল্লিতে তিন দিনের সফর শেষে তিনি ঢাকায় আসবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, বিগান ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) সম্পর্কিত পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সাথে বৈঠক করবেন।

মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করবেন।

বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে সফররত মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করবেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের কার্যালয় সূত্র জানায়, স্টিফেন ই বিগানের বাংলাদেশ সফরের সময় সবার সমৃদ্ধির জন্য একটি স্বাধীন, অবাধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

বাংলাদেশের অগ্রাধিকার

যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিগানের ঢাকা সফরের সময় রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরা হবে এবং তাদের দ্রুত মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে বিশ্বের বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় সমর্থন চাইবে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, 'আমাদের মূল লক্ষ্য রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে। এটা বিশ্ববাসীর দায়। রোহিঙ্গাদের অবশ্যই ফিরিয়ে নিতে হবে।'

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের বিষয়ে বাংলাদেশের দায়িত্ব একার নয়, দায় বিশ্ববাসীর এবং বাংলাদেশ এটি তুলে ধরবে।

ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ মানবিক সহায়তায় আগ্রহী নয়। 'এটি সমাধানের একটি অংশ তবে মূল অংশ নয়। রোহিঙ্গাদের অবশ্যই মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে। আমাদের জন্য এটিই মূল বিষয়।'

আইপিএস এবং বাংলাদেশ

সোমবার ড. মোমেন বলেন, মার্কিন পক্ষ ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) নিয়ে কথা বলবে এবং এতে বাংলাদেশের কোনো সমস্যা নেই।

তিনি বলেন, সফরকালে বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়ন ও ভিসা সংক্রান্ত বিষয়েও কথা বলবে।

ড. মোমেন বলেন, 'বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ইউএস ভিসা পাচ্ছেন না, অথচ অন্য দেশের শিক্ষার্থীদের ভিসা দেয়া হচ্ছে। এটি বৈষম্যমূলক।'

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, 'আমরা বলব যে তারা যদি (আইপিএস) উদ্যোগের কার্যকারিতা চায় তবে তাদের অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগে এগিয়ে আসা উচিত, কেবল আলোচনার মাধ্যমেই কাজ হবে না।'

ড. মোমেন বলেন, তারা যদি সত্যিই বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় তবে তারা তিন বছরের জন্য শুল্ক প্রত্যাহার করে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পকে সহায়তা করতে পারে।

আইপিএসের প্রতিরক্ষার দিক নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তারা সরঞ্জাম বিক্রি করতে চায় তবে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ হওয়ায় বাংলাদেশ সে বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করবে।

উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই বিগান ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশ ছেড়ে যাবেন। 
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.