মন্দিরে নাশকতার 'মূলহোতা' গ্রেপ্তার

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
18 October, 2021, 09:35 am
Last modified: 18 October, 2021, 10:18 am
গ্রেপ্তার হওয়া লাবিবের বিরুদ্ধে নাশকতা ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত সংক্রান্ত মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

ফেনী শহরের ট্রাংক রোডে শনিবার বিকালে পূজা উদযাপন পরিষদের বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও মুসল্লিদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় আহনাফ তৌসিফ মাহমুদ লাবিব (২২) নামে এক কলেজ ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র‌্যাবের ভাষ্যমতে, লাবিব ওই ঘটনার উস্কানিদাতা ও পরিকল্পনাকারী।

র‌্যাব সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত ২টার দিকে শহরের মধ্যম রামপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে লাবিবকে গ্রেফতার করা হয়। লাবিব ওই এলাকার সাইফুদ্দিন মাহমুদের ছেলে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে র‌্যাবকে জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় ফেনী বড় মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে দুই বন্ধু মুন্না ও সফীকে নিয়ে হাতে এক বোতল পেট্রোলসহ তারা কালী মন্দিরে যায়। সেখানে মন্দিরের পুরোহিতকে ব্যাপক মারধর ও মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ভয় দেখায় তারা।

ফেনীর র‌্যাব-৭ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি অধিনায়ক মো: জুনায়েদ জাহেদী জানান, গ্রেপ্তার লাবিবের বিরুদ্ধে নাশকতা ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত সংক্রান্ত মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

এর আগে রোববার দুপুরে ট্রাংক রোডের কালিবাড়ি মন্দির পরিদর্শন শেষে র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল এম এ ইউসুফ সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই ফুটেজ দেখে লাবিব নামে এক যুবককে শনাক্ত করার পর রাতেই আটক করা হয়েছে। সে ফেনী সরকারি কলেজের অনার্স-এর শিক্ষার্থী।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লাবিব প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরো দুই-তিনজনের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

'জনপ্রতিনিধিদের ওপর হিন্দু সম্প্রদায়ের আস্থা নেই'

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাস গুপ্ত বলেছেন, "ফেনীতে শনিবার যে ঘটনা ঘটানো হলো এতে প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করার বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যা বলেছেন, সে কথা রাখা হয়নি। পুলিশের নাকের ডগায় ঘটনা হয়েছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘটনা ঘটেছে। জনপ্রতিনিধিরা কোথায়? রাজনৈতিক দলের নেতারা কোথায়? এমপিরা কোথায়? সারাদেশে তাদের দেখা যায়নি। দু-একটি ক্ষেত্রে ভিন্ন হয়ে থাকতে পারে।"

গতকাল রোববার রাতে শহরের কালিবাড়ি মন্দিরে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, "আজ আর কারো ওপর আস্থা বা বিশ্বাস রাখার মতো বাস্তবতা নেই। কাজে এবং আস্থায় বিশ্বাস স্থাপন করার জন্য তাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। তাদেরকে দেখাতে হবে যে তারা বিশ্বস্ততার কাজ করছেন।"

 

 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.