ভোলায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত 

বাংলাদেশ

ভোলা প্রতিনিধি 
25 May, 2021, 01:30 pm
Last modified: 25 May, 2021, 01:35 pm
সকাল থেকে অস্বাভাবিক হারে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ওই সকল এলাকা প্লাবিত হয়। 

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভোলার নদ-নদীগুলো। মাঝেমধ্যে ঝড়ো বাতাস ও গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তীরে ফিরতে শুরু করেছে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্লাবিত হয়েছে ভোলার চরফ্যাশনের ঢালচর ইউনিয়ন। এছাড়া কুকরি মুকরি, চর পাতিলা, ভোলার চরসহ মনপুরার উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল থেকে অস্বাভাবিক হারে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ওই সকল এলাকা প্লাবিত হয়। 

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস থেকে উপকূলের বাসিন্দাদের সতর্ক করতে মাইকিং করছে সিপিপির স্বেচ্ছাসেবীরা। সোমবার (২৪ মে) দুপুর থেকে ভোলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলে এ প্রচারণা চালায় তারা।

ভোলা জেলা প্রাশাসক অফিস সূত্র জানায়, ভোলা উপকূলের ৩ লাখ ১৮ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে আনার প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলার ৭ উপজেলার প্রায় ৪০টি দ্বীপচরকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে তাদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনার এ প্রস্তুতি নেওয়া হয়ছে বলে জানিয়েছেন ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

তিনি বলেন, ঝড় মোকাবিলায় জেলার ৭০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৭৬টি মেডিক্যাল টিম। অন্যদিকে সিপিপি'র ১৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ছাড়াও রেডক্রিসেন্ট এবং স্কাউটস কর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে ৮টি কন্ট্রোল রুম। ঘূর্ণিঝড়ে যাতে উপকূলীয় জেলা ভোলাতে ক্ষয়ক্ষতি কম হয় সে লক্ষ্যে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। 
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.