ভূমি অফিসকে ‘দুর্নীতিমুক্ত’ করতে চলছে উমেদার ছাঁটাই, অফিস গেটেই সেবা দিচ্ছেন এসিল্যান্ডরা
চট্টগ্রামের সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তাদের কাছে যেতে হলে কমপক্ষে তিনজন উমেদারের কাছে জবাবদিহি করতে হয় সেবাপ্রার্থীকে। খোদ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এই তথ্য। ভূমি অফিসকে কেন্দ্র করে যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই দুর্নীতি প্রতিরোধে এবার উমেদার ছাঁটাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বলেন, "নগর ও জেলার বিভিন্ন ভূমি অফিস থেকে ইতোমধ্যে ১৩০ জন উমেদারকে ছাঁটাই করা হয়েছে। আরো রয়েছে প্রায় ১০০ জন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাদেরকেও ছাঁটাই করা হবে।"
"আমাদের নিয়মিত স্টাফ বদলি হলেও উমেদার থেকেই যায়। ভূমি অফিসকেন্দ্রিক দালালদের আধিপত্যের পেছনে এ উমেদাররাই দায়ী। দুর্নীতিমুক্ত ভূমি অফিস গড়তে আমরা নতুন কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এখন থেকে আগামী একমাস এসিল্যান্ডরা তাদের অফিসের গেটে বসে সেবা প্রার্থীদের প্রত্যাশিত সেবা দেবেন।"- যোগ করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক জানান, রোববার থেকে নগরের ৬টি ভূমি অফিসের গেটে বসে সেবাপ্রার্থীদের সেবা দিচ্ছেন সহকারী কমিশনাররা (ভূমি)। এ কার্যক্রম আপাতত নগরীতে শুরু চলছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলা ভূমি অফিসেও কার্যক্রম শুরু হবে। দুর্নীতিকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেয়া হবে না।
মো. মমিনুর রহমান বলেন, "আমরা ইতোমধ্যে দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছি। থানায় হওয়া মামলা পুলিশ তদন্ত করছে। দুদকের করা মামলা দুদকের তদন্ত কর্মকর্তারা দেখছেন।"
সরকারি বিভিন্ন অফিসে কোনো রকম নিয়োগ ছাড়াই যুগ যুগ ধরে কাজ করছেন উমেদাররা। মূলত, অফিসারদের সহযোগিতার বিনিময়ে তারা দৈনিক হিসেবে মজুরি পেয়ে থাকেন।