বৃদ্ধকে বিবস্ত্র করে লাঞ্ছনাকারী যুবলীগ নেতা আনছুর গ্রেপ্তার

বাংলাদেশ

কক্সবাজার প্রতিনিধি
10 June, 2020, 08:50 pm
Last modified: 10 June, 2020, 10:27 pm
আজ বুধবার সকাল ১১টায় জেলার মহেশখালীর ষাইটমারা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বৃদ্ধকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত এবং বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা আনছুর আলমকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় করা মামলার এজাহারভুক্ত এক নম্বর আসামি তিনি।   

আজ বুধবার সকাল ১১টায় জেলার মহেশখালীর ষাইটমারা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতারকৃত আনছুর আলম চকরিয়ার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ছয়কুড়িটিক্কা পাড়ার মৃত মনির উল্লাহর ছেলে। তিনি ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।

ওই বৃদ্ধকে নির্যাতনের ঘটনার ভিডিওটি নজরে আসা মাত্রই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তাৎক্ষণিক অভিযানে নামে পুলিশ। 

অভিযানের শুরুতে পুলিশ তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও প্রধান অভিযুক্ত আনছুর আলম পালিয়ে যান। তাকে ধরতে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত থাকায় বুধবার তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়, বলে দাবি পুলিশের।    

গত ২৪মে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ছয়কুড়িটিক্কা পাড়ায় নির্যাতনের শিকার হন ৭২ বছর বয়সী নুরুল আলম । ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আনছুর আলমের নেতৃত্বে একদল বখাটে ঘটনাটি ঘটায়।

এরপর ৩১ মে বৃদ্ধ নুরুল আলমের ছেলে আশরাফ হোসাইন চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওই এলাকার মৃত মনির উল্লাহর ছেলে আনছুর আলম, বদিউল আলম, শাহ আলম, শাহ আলমের স্ত্রী আরেজ খাতুন, বদিউল আলমের ছেলে মিজানুর রহমান, আবদুল জাব্বারের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন, জয়নাল আবেদিন এবং মনজুর আলমের ছেলে মো. রুবেলকে অভিযুক্ত করা হয়।

এজাহারে আশরাফ উল্লেখ করেন, ২৪ মে আমার বৃদ্ধ বাবা নুরুল আলম ঈদের বাজার করে ঢেমুশিয়া স্টেশন থেকে টমটমযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে যুবলীগ নেতা আনছুর আলমের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী টমটম থেকে আমার বাবাকে নামিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে- পরনের লুঙ্গি, গেঞ্জি ছিঁড়ে উলঙ্গ করে ফেলে। পাশাপাশি তাকে মারধর ও গালিগালাজ করে।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, গ্রামের কয়েকজন যুবক এ দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে। এ সময় আমার বাবা বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করলেও কেউ রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি। খবর পেয়ে আমার ছোট ভাই সিএনজিচালক সালাহউদ্দিন স্থানীয় লোকজনসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাবাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এরপর বাবাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। 
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.