বুয়েট চাইলে সেখানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
![](https://www.tbsnews.net/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/10/09/sheikh_hasina_1.jpg)
রোববার গভীর রাতে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কিছু সদস্যের নির্যাতনে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরারের মৃত্যুর পর, বিভিন্ন মহলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে। আন্দোলনরত বুয়েট শিক্ষার্থীদের দশ দফা দাবিতেও রযেছে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার কথা। বুধবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ দাবি নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তবে তিনি বলেছেন, বুয়েট কর্তৃপক্ষ চাইলে সেখানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে পারেন।
বুধবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সফর এবং ভারত সফর নিয়ে গণভবনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক চুক্তি এবং বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী।
ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হবে কিনা বা মূল দল থেকে ছাত্রসংগঠনগুলোকে স্বাধীন করে দেওয়া হবে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের কথা বলছেন। এদেশের প্রতিটি সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা কিন্তু ছাত্ররাই নিয়েছে। এই যে একটা সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে, অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তো সংগঠন করা নিষিদ্ধ আছে। বুয়েট যদি মনে করে সেটা নিষিদ্ধ করে দিতে পারে। কিন্তু একেবারে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে দিতে হবে, এটা তো সামরিক শাসকদের কথা। আসলে তারাই তো সবসময় স্টুডেন্ট পলিটিক্স ব্যানড, রাজনীতি ব্যান-- এগুলো করে গেছে।”
তিনি বলেন, “এদেশের নেতৃত্ব কিন্তু উঠে এসেছে ওই স্টুডেন্ট পলিটিক্স থেকে। আজকে যে বললেন, আমি দেশের সবদিকে নজর দিই, কাজ করি, একা আমি কেন করি? আমি ছাত্ররাজনীতি করেই কিন্তু এখানে এসেছি। এজন্য দেশের ভালো-মন্দ চিন্তা আমার মাথায় ওই ছাত্রজীবন থেকেই আছে। কিন্তু যারা উড়ে এসে জুড়ে বসে, তারা আসে ক্ষমতাকে উপভোগ করতে, তাদের কাছে তো দেশের ভালো-মন্দের চিন্তা থাকে না।”
ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের কোনো অঙ্গসংগঠন নয় দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগ থেকে ছাত্রলীগ সবসময় আলাদা সংগঠন। তবে হ্যাঁ, তারা যেহেতু ছাত্র, তাদের গাইডলাইন দিতে হয়, তাদের নির্দেশনা মূল দল দেবেই, কারণ এটা নীতি-আদর্শের ব্যাপার। নষ্ট পলিটিক্স যেটা, সেটা আইয়ুব খাঁন শুরু করছিলেন। পরে সেটা জিয়াউর রহমান এসে আবার শুরু করেন। আমাদের গঠনতন্ত্রে আপনারা দেখবেন কোন কোন দল আমাদের সহযোগী সংগঠন তার একটা তালিকা আছে। ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের কোনো অঙ্গসংগঠন নয়। ছাত্র সংগঠন সবগুলোই আলাদা একটা সংগঠন। সেভাবেই কিন্তু আছে।”