বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের তাগিদ ইউজিসি'র

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
02 June, 2021, 07:35 pm
Last modified: 02 June, 2021, 07:37 pm
কমিশন সদস্যদের মতে, উপাচার্যদের কেউ কেউ ইউজিসি’র নির্দেশনা উপেক্ষা করে সম্পুর্ণ নিজস্ব এখতিয়ারে এডহক ও মাস্টার রোলে জনবল নিয়োগ করে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে বিতর্কের মুখে ফেলছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে 'স্ট্র্যাটেজিক প্লান ফর হায়ার এডুকেশন ইন বাংলাদেশ: ২০১৮—২০৩০' সফল বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ। তিনি কৌশলগত পরিকল্পনাটির উপাদানগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন এবং এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অর্থায়নের জন্য সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। 

'স্ট্র্যাটেজিক প্লান ফর হায়ার এডুকেশন ইন বাংলাদেশ: ২০১৮—২০৩০' বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করার লক্ষ্যে ইউজিসি পর্যায়ে গঠিত কমিটির ২য় ভাচুর্য়াল সভায় তিনি এ কথা বলেন।  

কমিটির আহ্বায়ক এবং ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ— এর সভাপতিত্বে সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, ইউজিসি'র সাবেক সদস্য, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য, বিশিষ্ঠ শিক্ষাবিদ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, ইউজিসি'র সংশ্লিষ্ট  বিভাগীয় প্রধান ও কর্মকতার্গণ সংযুক্ত ছিলেন। সভায় কমিশনের এসপিকিউএ  বিভাগের পরিচালক ড. ফখরুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য দেন। 

সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিদ্যমান আইন ও নীতিমালা অনুসরণ করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা এবং উচ্চশিক্ষার কাঙিক্ষত লক্ষ্য অর্জনে কাজ করার পরামর্শ দেন।

সভায় দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে এডহক ও মাস্টার রোলে নিয়োগ বন্ধে ইউজিসি'র নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে মঞ্জুরী কমিশন। কমিশনের মতে, উপাচার্যদের কেউ কেউ ইউজিসি'র নির্দেশনা উপেক্ষা করে সম্পুর্ণ নিজস্ব এখতিয়ারে এডহক ও মাস্টার রোলে জনবল নিয়োগ করে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে বিতর্কের মুখে ফেলছেন।

সভায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দ এবং সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বলেন, অস্বচ্ছ ও অনৈতিক নিয়োগ এবং আর্থিক বিধিমালা লংঘিত হওয়ার ফলে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এডহক ও মাস্টার রোলে নিয়োগের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উপাচার্যরা বিতর্কিত হচ্ছেন। অন্যদিকে যেসব উপাচার্য এধরনের অনৈতিক নিয়োগ দিতে চান না, তাদের ওপর অহেতুক চাপ তৈরি হচ্ছে। প্রতিযোগিতামূলক নিয়োগের সুযোগ না থাকায় অদক্ষ লোক নিয়োগ পাচ্ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মের সংস্কৃতি চালু হচ্ছে। 

উপাচার্যরা আরও বলেন, চাকরিতে প্রবেশে নাগরিকের সমানাধিকার সংবিধান স্বীকৃত। এডহক নিয়োগে বাংলাদেশের সংবিধান লঙ্ঘিত হচ্ছে। এ অধিকার সুরক্ষায় সকল ধরনের অনৈতিক নিয়োগ বন্ধ করা প্রয়োজন। এছাড়া, উপাচার্যরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য ইউজিসি প্রণীত শিক্ষক নিয়োগ—পদোন্নয়নের নীতিমালা যথাযথ বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন। 

এডহক ও মাস্টার রোলে নিয়োগ বিষয়ে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর দিল আফরোজা বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এডহক ও মাস্টার রোলে নিয়োগ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। যদি কেউ ইউজিসি'র নির্দেশনা অমান্য করে নিয়োগ দেয় সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নিয়োগে ফান্ড বন্ধ করে দেওয়া হবে। 

সভায় একটি ফ্লাগশীপ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা,  শিক্ষকদের জন্য প্রয়োজনীয়তার নিরিখে স্কলারশিপ চালু, বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়ন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিখন –শিক্ষণ কেন্দ্রকে আইকিউএসি'র অন্তভূর্ক্ত করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.