বিটিআরসির বিধিনিষেধ স্থগিত চেয়ে গ্রামীণফোনের রিট

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
29 June, 2020, 12:50 pm
Last modified: 29 June, 2020, 05:49 pm
গত ২১ জুন গ্রামীণফোনের ওপর দুটি বিধিনিষেধ জারি করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি)।

গ্রামীণফোনের ওপর  বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) আরোপ করা দুইটি বিধিনিষেধ স্থগিতের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছে মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠানটি।

বিটিআরসির আরোপ নতুন বিধিনিষেধ অনুযায়ী, আগামী ১ জুলাই থেকে গ্রামীণফোন আগাম অনুমোদন ছাড়া কোনো ধরনের নতুন সেবা, অফার বা প্যাকেজ দিতে পারবে না। এখনকার অফার অথবা প্যাকেজও আবার অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে।

এ ছাড়া নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদলে গ্রামীণফোনের ক্ষেত্রে 'লকিং পিরিয়ড' হবে ৬০ দিন। অন্যদের ক্ষেত্রে যা ৯০ দিন। এর মানে হলো, গ্রামীণফোন সহজে ছাড়া যাবে।

সোমবার (২৯ জুন) প্রতিষ্ঠানটির আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান রিট দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

চলতি সপ্তাহে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।

এর আগে গত ২১ জুন গ্রামীণফোনের ওপর দুটি বিধিনিষেধ জারি করে  বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি)।

বিটিআরসি গ্রামীণফোনের ওপর এসব বিধিনিষেধ আরোপ করেছে তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতা প্রবিধানমালার (২০১৮) অধীনে। এর আওতায় সংস্থাটি গত বছর ১০ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণফোনকে তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতাধারী (এসএমপি) অপারেটর হিসেবে ঘোষণা করে।

কোনো মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকসংখ্যা, রাজস্ব অথবা তরঙ্গ- এ তিন ক্ষেত্রের একটিতে ৪০ শতাংশের বেশি বাজার হিস্যাধারী হলে এসএমপি অপারেটর হিসেবে ঘোষণা করা যায়। গ্রামীণফোন গ্রাহক সংখ্যা ও অর্জিত বার্ষিক রাজস্বের দিক দিয়ে ৪০ শতাংশ বাজার হিস্যাধারী। 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.