বাংলাদেশি জ্যোতির্বিজ্ঞানী সায়েন্স ওয়াচের সেরা দশে
গবেষণা কাজের অভূতপূর্ব সফলতায় সেরা দশ বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশদ্ভূত মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী- তনিমা তাসনিম অনন্যা।
তিনি মহাকাশ পদার্থবিদ্যা বা অ্যাস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে কাজ করেন। আর মহাকাশের সবচেয়ে রহস্যময় বস্তুসত্তা হচ্ছে 'কৃষ্ণগহ্বর' বা ব্ল্যাকহোল। সেখানে পদার্থবিদ্যার জটিল সূত্রগুলোও কাজ করে না।
সেই মহাজাগিক কৃষ্ণগহ্বর নিয়েই গবেষণায় অসামান্য সাফল্য পান ২৯ বছরের তনিমা। এর স্বীকৃতিস্বরূপ গত ৩০ সেপ্টেম্বর তাকে এসএন ১০: সায়েন্টিস্ট টু ওয়াচ' শীর্ষক তালিকায় যুক্ত করে সায়েন্স নিউজ। বিজ্ঞান জগতের সম্মানজনক এ তালিকায় হাতেগোণা কিছু নবীন বিজ্ঞানীই স্থান পান।
এ শিরোনামে একটি প্রতিবেদনও ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত অলাভজনক সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির হালনাগাদ তথ্য প্রতিষ্ঠানটি তুলে ধরে। গত ছয় বছর ধরে ওয়াশিংটনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি সেরা নবীন বিজ্ঞানীদের এ তালিকা প্রকাশ করে আসছে। ৪০ বা তার কম বয়সী বিজ্ঞানীরা এখানে স্থান পেয়ে থাকেন।
প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশি-আমেরিকান এ নারী মহাবিশ্বের রহস্যময় এ বস্তুর সবচেয়ে নিখুঁত চিত্র তার গবেষণার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। ব্ল্যাকহোলের অবস্থান কোথায় কোথায় আর কীভাবেই বা তাদের বিস্তৃতি বাড়ে তার নিখুঁত ব্যাখ্যা দেন তিনি। তুলে ধরেছেন মহাজাগতিক পরিবেশে তাদের প্রভাবকেও। সায়েন্স নিউজ একে 'অসাধারণ গবেষণা' বলে উল্লেখ করেছে।
তনিমা তাসনিম একজন মহাকাশবিজ্ঞানী। বর্তমানে ডার্টমাউথ কলেজের সঙ্গে তিনি যুক্ত আছেন।
সায়েন্স নিউজের ওয়েবসাইটে সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ বছর বয়স থেকেই তনিমা তাসনিম তার মায়ের উৎসাহে মহাকাশ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তার মা শোনাতেন মঙ্গলে অভিযানে যাওয়া পাথফাইন্ডার মহাকাশযানের গল্প। সেই থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ বাড়তে থাকে তনিমার। তিনি জানান, ওই সময় থেকেই মহাকাশবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার স্বপ্ন দেখতেন।
তনিমা তাসনিম এর আগে নাসা ও সার্নে ইন্টার্নশিপ করেছেন। এছাড়া কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়েও কিছুদিন পড়াশোনা করেন তিনি। ২০১৯ সালে তিনি বিশ্বখ্যাত ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন।