'বন্দুকযুদ্ধে' কাউন্সিলর সোহেল হত্যা মামলার দুই অভিযুক্ত নিহত 

বাংলাদেশ

কুমিল্লা প্রতিনিধি
30 November, 2021, 09:50 am
Last modified: 30 November, 2021, 02:33 pm
রাত প্রায় ১টার দিকে সদর উপজেলার গোমতী নদীর বেড়িবাঁধের সংরাইশ বালুমহল সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল (৫০) ও আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহাকে (৬০) গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার দুই অভিযুক্ত আসামি জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও থানা পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- মামলার তিন নম্বর আসামি নগরীর সুজানগর এলাকার বাসিন্দা রফিক মিয়ার ছেলে মো.সাব্বির হোসেন (২৮) ও মামলার পাঁচ নম্বর আসামি সংরাইশ এলাকার কাকন মিয়ার ছেলে সাজন (৩২)। নিহতদের মরদেহ বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সত্যজিৎ বড়ুয়া।

তিনি বলেন, সোমবার রাত সোয়া ১২টায় খবর পাই আলোচিত এই জোড়া খুনের মামলার এজহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা সংরাইশ ও নবগ্রাম এলাকায় অবস্থান করছে। খবর পেয়ে কোতয়ালি মডেল থানা এবং ডিবি পুলিশের একাধিক টিম তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। রাত প্রায় ১টার দিকে সদর উপজেলার গোমতী নদীর বেড়িবাঁধের সংরাইশ বালুমহল সংলগ্ন এলাকায় ডিবি ও থানা পুলিশের টিম পৌঁছালে আসামিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকে।

তিনি আরও বলেন, এ সময় উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা নিজেদের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। গোলাগুলির একপর্যায়ে কয়েকজন দুষ্কৃতকারী পালিয়ে যায়। গুলিবর্ষণ শেষে ঘটনাস্থলে ওই দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরবর্তীতে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া গুলিতে পুলিশের তিনজন সদস্য আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য পুলিশ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

সত্যজিৎ বড়ুয়া জানান, ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত একটি ৭.৬৫ পিস্তল, একটি পাইপ গান, পিস্তলের অব্যবহৃত গুলি, গুলির খোসা এবং কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত ২২ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথুরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে কাউন্সিলর কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল এবং সহযোগী হরিপদ সাহা। কাউন্সিলর সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। নিহত হরিপদ সাহা নগরীর ১৭নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও ৫ জন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জোড়া খুনের ঘটনায় গত ২৩ নভেম্বর রাতে কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.