বগুড়ায় ১৫ চরমপন্থীর আত্মসমর্পণ
নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে অস্ত্র রেখে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসায় বগুড়ার ১৫ চরমপন্থীতে পূণর্বাসনে আরও ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল পাবনায় ১৪ জেলার যে ৫৯৫ জন চরমপন্থী আত্মসমর্পণ করে বগুড়ায় এই ১৫ জন তাদের মধ্যে ছিলেন।
রোববার বগুড়া পুলিশ লাইনে দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর অনুদাননের টাকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনুও উপস্থিত ছিলেন।
দুপচাঁচিয়ার উজ্জ্বল খান বিভিন্ন কারণে জড়িয়ে পড়েছিলেন চরমপন্থার সঙ্গে। আত্মসমর্পণের পর এখন কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন বলছেন তিনি। "এখন ভাই কৃষি কাজ করে খাচ্ছি। কোনো দুশ্চিন্তা নাই। আগের থেকে এখন অনেক ভাল আছি আমি।" বললেন তিনি।
আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারের মামুনুর রশিদ আর্থিক দৈন্যতায় আর বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে জড়িয়েছিলেন চরমপন্থার সঙ্গে। অর্থাভাবে সামান্য টাকার লোভেই পাড়ি দিয়েছিলেন অন্ধকার জগতে। চরমপন্থীদের গাড়ি চালাতেন তিনি। এক বছর ধরে সেই জগত থেকে বেরিয়ে এসেছে আছে মুক্ত বিহঙ্গের মতো। "অনুদানের টাকা আমি একটাও নষ্ট করিনি ভাই। গ্রামে হাঁসের খামার শুরু করেছি। এখন প্রায় ৭০০ হাস আছে আমার খামারে। নিজেই এখন নিজের মালিক।" বলেন তিনি।
উজ্জ্বল-মামুনদের মতো বাকিরাও এখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে শান্তিতে আছেন। তা নিয়ে সন্তুষ্ট প্রশাসনও। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, "যারা ফিরে এসেছেন তাদের ধন্যবাদ। যারা এখনও আসেনি তাদের আহ্বান জানাচ্ছি আপনারা ফিরে আসেন।"
বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা বললেন, "আমরা কিন্তু নিয়মিত নজরদারি করি তাদের। ভালো বিষয় হলো, তাদের কারো মধ্যে চরমপন্থার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তারা সত্যিই সঠিক পথে আছে এবং আশাকরি সঠিক পথেই থাকবে।"