বগুড়ায় বিষাক্ত মদপানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

বগুড়ায় 'বিষাক্ত মদপানে' নিহতের সংখ্যা বেড়ে দশে দাঁড়িয়েছে। রোববার থেকে সোমবার রাত মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।
মৃতরা হলেন, বগুড়া তিনমাথা এলাকার রমজান আলী (৪০) ও সুমন রবিদাস (৩৬), ফুলবাড়ি এলাকার পলাশ মিয়া (৪০), আব্দুর রহিম (৩৮), কাটনারপাড়ার সাজু (৫৫) ও মোজাহার আলী (৭৭)। এই ছয়জনের মৃত্যুর খবর সোমবার নিশ্চিত করেছিল পুলিশ।
গতকাল পুলিশ জানিয়েছিল, তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বিষাক্ত মদ পানে, বাকিরা স্টোক করে মারা গেছেন। মৃত ব্যক্তির স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পুলিশের নিশ্চিত করা তিনজন বাদে অন্যরাও বিষাক্ত মদ পান করেছিলেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে আটটার দিকে মারা গেছেন সুমন রবিদাসের বাবা প্রেমনাথ। এ ছাড়া সোমবার বিকেলের দিকে বগুড়ার দক্ষিণ ফুলবাড়ি এলাকার রিকশাচালক আব্দুল জলিল (৬৫), সদরের ফাঁপোর এলাকার রিকশাচালক জুলফিকার রহমান (৫৬) ও কহালু উলট্ট মহল্লার আবু কালাম মারা যান। তাদের মৃত্যুর বিষয়টি আজ মঙ্গলবার সকালে বগুড়ার সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ বলছে, আব্দুল জলিল (৬৫), জুলফিকার রহমান (৫৬) ও আবু কালাম নিজ বাড়িতে মারা গেছেন। তাদের স্বজনরা বলছেন, বিষাক্ত মদ তারাও খেয়েছিলেন। আবু কালাম বাদে অন্য দুজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
বিষাক্ত মদ খেয়ে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সুমন রবিদাসের চাচা রামনাথ, পলাশের ভাই আতিকুর রহমান পায়েল, পায়েলের বন্ধু আইয়ুব, শিববাটি এলাকার হোটেল শ্রমিক রঞ্জু।
এদিকে বিষাক্ত মদ বিক্রির বিষয়ে বগুড়া সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা বাদী রঞ্জুর বড় ভাই মনোয়ার। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আসামীরা হলেন, খান হোমিও হলের মালিক শাহিনুর রহমান শাহীন, পারুল ও পুনম হোমিও হলের মালিক নুর আলম ও নুর নবী। নুর আলম ও নুর নবী আপন দুই ভাই।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার ফুলবাড়ী এলাকার পলাশ মিয়াকে সোমবার ১১টার দিকে হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান। পলাশের ভাই পায়েল ও তার বন্ধু আইয়ুব বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেলে ভর্তি আছেন। হাসপাতালেই পলাশের ভাগ্নে বাধন বলেন, জন্মদিনের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ওই সন্ধ্যায় তার মামার সাথে আব্দুর রহিম (৪২) নামের আরেকজনও মদ পান করেন। পরে তিনি তার বাড়ি ফুলবাড়ী দক্ষিণ পাড়ায় গত রোববার মারা যান।
নিহত সুমন রবিদাসের ভাই সুজন রবিদাস বলেন, রমজান তাদের এলাকার বাসিন্দা। তারা শহরের তিনমাথা রেলগেট এলাকায় একটি হোমিও দোকান থেকে স্পিরিট কিনে খান। খাওয়ার পরই রমজান অসুস্থ হয়ে তার নিজ বাড়িতে মারা যান।