পানির স্তর নেমে যাওয়ায় সংকটের মুখে চট্টগ্রামের শিল্প-কারখানা, মিলছে না খাবার পানি

বাংলাদেশ

16 June, 2021, 08:15 pm
Last modified: 16 June, 2021, 08:50 pm
চলমান তীব্র পানির সংকটের পেছনে বিশেষজ্ঞরা মাত্রাতিরিক্ত ভূগর্ভস্থ পানির উত্তোলনকে দায়ী করেছেন। প্রকৃতপক্ষে, শিল্পকারখানাগুলো কিছুটা হলেও নিজেরাই নিজেদের দুর্ভাগ্যের জন্য দায়ী।

চট্টগ্রাম নগরের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর গত ৪০ বছরে ২০ মিটার পর্যন্ত নিচে নেমে গেছে। মূলত মাত্রাতিরিক্ত পানি উত্তোলনের জন্য বর্তমানে শতাধিক টিউবওয়েল অকেজো হয়ে পড়েছে।

ভারী শিল্পকারখানাগুলো প্রায়ই দূরবর্তী নদী থেকে পানি নিয়ে আসার পরিবর্তে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের সংক্ষিপ্ত পথ বেছে নেয়।

কিন্তু বর্তমানে, কারখানার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত পানি উত্তোলনে ব্যর্থ হওয়ায় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোও ভোগান্তির মুখে পড়েছে।

বিশেষজ্ঞরা, চলমান তীব্র পানির সংকটের পেছনে মাত্রাতিরিক্ত ভূগর্ভস্থ পানির উত্তোলনকে দায়ী করছেন। প্রকৃতপক্ষে, শিল্পকারখানাগুলো কিছুটা হলেও নিজেরাই নিজেদের দুর্ভাগ্যের কারণ বয়ে নিয়ে এসেছে।

উদাহরণস্বরূপ, সীতাকুণ্ডে পিএইচপি ফ্লোট গ্লাস কারখানার উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। কারখানাটি বর্তমানে দৈনিক ১০ লাখ লিটার পানির চাহিদা পূরণে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, পাহাড়ি ঝর্ণা এবং ফেনী নদী থেকে পানি সরবরাহ করছে। দৈনন্দিন পানির চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে।

পিএইচপি পরিবারের ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন বলেন, "এখানে তীব্র পানির সংকট রয়েছে। আমরা নিজেরাই বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করছি। কারখানার নিকটবর্তী তিনটি ঝর্ণা থেকে আমরা পানি সংগ্রহ করি। ভূগর্ভস্থ পানি আমাদের নাগালের বাইরে।"

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (চট্টগ্রাম বিভাগ) মোঃ জহির উদ্দিন দেওয়ান বলেন, "শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নিয়েই গভীর নলকূপ স্থাপন করে পানি উত্তোলন করে।"

পানি সংকটের জন্য তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, ভূগর্ভস্থ জলে আর্সেনিক ও লবণাক্ততার উপস্থিতি এবং নদীর পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধিকে দায়ী করেন।

চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষও খাবার পানির তীব্র সংকটে ভুগছেন। 

সম্প্রতি, সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন স্থানীয়দের পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মিরসরাইবাসীর সাথে শিল্পোৎপাদনে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার নিষিদ্ধের দাবি জানান। মিরসরাই উপজেলার প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ বর্তমানে পানি সংকটের সম্মুখীন হচ্ছেন।

কৃষকরাও ফসলের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি সংগ্রহ করতে হিমশিম খাচ্ছেন।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, চট্টগ্রামের ১৬ উপজেলায় গত দশ বছরে সরকারের স্থাপিত ১২ হাজার ৭৮৫টি টিউবওয়েল এবং বেসরকারিভাবে স্থাপিত ৩০ হাজার টিউবওয়েল অকেজো হয়ে পড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভূগর্ভস্থ পানিসম্পদ বিভাগের মতে, গত ৪০ বছরে চট্টগ্রামে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ২০ মিটার নেমে যাওয়ায় জেলার ৭৬ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় ৫০ লাখ মানুষই পানি সংকটে ভুগছে।

ভূগর্ভস্থ পানিসম্পদ বিভাগের পরিচালক ড. আনোয়ার জাহিদ বলেন, ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর থেকে নদীর লবণাক্ততা দ্রুত বাড়তে থাকে, অন্যদিকে, শিল্পোৎপাদনে ভূগর্ভস্থ পানির উত্তোলনও উল্লেখজনক হারে বৃদ্ধি পায়।

বাড়তে থাকা শিল্প-কারখানার সাথে পানির চাহিদাও বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে, গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে টিউবওয়েল ও গভীর পানির পাম্প স্থাপিত হয়েছে।

আগে, শুধুপাত্র পানীয় জলের চাহিদা পূরণে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহৃত হত। কিন্তু, বর্তমানে দৈনন্দিন সকল কাজে এই পানি ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

চট্টগ্রামের ১৭টি শিল্পাঞ্চলের ছোট এবং মাঝারি কারখানার সংখ্যা এক হাজার ২৫০টি। এছাড়া, সীতাকুণ্ড এবং মিরসরাইতে বিএসআরএম, আবুল খায়ের গ্রুপ, জিপিএইচ ইস্পাত, পিএইচপি ফ্যামিলি, কেএসআরএম, টি কে গ্রুপ, সানম্যান গ্রুপ, এসএ গ্রুপ, কেডিএস গ্রুপ, কনফিডেন্স গ্রুপ এবং মোস্তফা হাকিম গ্রুপের মতো বিভিন্ন বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান কারখানা স্থাপন করেছে।

এই অঞ্চলে বিভিন্ন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানও উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করেছে। তবে, এখানকার প্রায় ৫০০ শিল্প-কারখানা বর্তমানে তীব্র সংকটের সম্মুখীন।

গত পাঁচ বছরে চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে পানি সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিশেষত, ইস্পাত ও গ্লাস কারখানাগুলোতে পানি সংকটের কারণে বর্তমানে ঝুঁকিতে আছে কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগ।

মিরসরাইয়ের বিএসআরএম কারখানায় প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ লিটার পানির প্রয়োজন পড়ে।

বিএসআরএমের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন সেনগুপ্ত দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ এবং ফেনী নদী থেকে পানি সংগ্রহের মাধ্যমে আমরা উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করছি। ফেনী নদী থেকে পাইপলাইনের মধ্য দিয়ে পানি আনার বিষয়ে আমাদের পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে চুক্তি করা রয়েছে।"

বর্তমানে, মিরসরাইয়ের ৩০ হাজার একর জমির ওপর বাংলাদেশের বৃহত্তম অর্থনৈতিক অঞ্চল বঙ্গবন্ধু শিল্প নগর গড়ে তোলার কাজ চলমান। ধারণা করা হচ্ছে, এই শিল্পনগরে প্রায় ১৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি, ২০৩১ সাল নাগাদ এখানকার দৈনিক পানির চাহিদা প্রায় ৫০ কোটি লিটারে গিয়ে পৌঁছাবে।

প্রাথমিকভাবে, চট্টগ্রাম ওয়াসার মাধ্যমে হালদা নদী থেকে পানি আনার পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু, বাড়তে থাকে লবণাক্ততার কারণে হালদা নদী নিজেই সংকটের সম্মুখীন।

চট্টগ্রাম ওয়াসার ২০ শতাংশ পানি হালদা থেকে আসলেও, লবণাক্ততা বৃদ্ধির জন্য প্রায়ই নদী থেকে পানি আনা বন্ধ রাখতে হয়। এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম ওয়াসা পানির বিকল্প উৎস খুঁজছে।

চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "হালদা নদীতে লবণাক্ততা বাড়তে থাকায় আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে পানি সরবরাহের বিকল্প উৎসের সন্ধান করছি। আমরা মেঘনা নদী থেকে পানি আনার কথা ভাবছি। অর্থনৈতিক অঞ্চলটি থেকে নদীর দূরত্ব ১৩২ কিলোমিটার। সেখানে, নদীতে পানির লবণাক্ততা ১২ পিপিএম।"

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "মেঘনা থেকে বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে পানি সরবরাহের প্রকল্পটি সফল হবে বলে আমরা আশাবাদী। পানি সংগ্রহের জন্য আমাদের অন্যান্য উৎসও রয়েছে।"

"অর্থনৈতিক অঞ্চলটিতে আমাদের লবণাক্ততা দূরীকরণ প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা আছে। সুতরাং, সেখানে কোনো পানি সংকট থাকবে না," বলেন তিনি।

এদিকে, কর্ণফুলী এবং হালদা নদীর ওপর নির্ভরশীল জনজীবন এবং বাণিজ্যিক স্থাপনাগুলো ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

চট্টগ্রামের সার কারখানা কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানিতে (কাফকো) উৎপাদন অব্যাহত রাখতে প্রতি ঘন্টায় ৮০০ টন স্বাদু পানির প্রয়োজন পড়ে।

নিকটস্থ কর্ণফুলী নদী থেকে প্রতিষ্ঠানটির পানি সংগ্রহের কথা থাকলেও নদীর লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়া কাফকো পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছে না। ফলস্বরূপ, তারা সাতটি গভীর নলকূপ ব্যবহার করে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে আনছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কাফকোর অতিরিক্ত পানি উত্তোলনের কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে গেছে।

এই অঞ্চলে পানি এখন অগভীর নলকূপের নাগালের বাইরে। এমনকি, পুকুরগুলোও শুকিয়ে গেছে।

দৈনন্দিন উৎপাদনের জন্য চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানারও বিপুল পরিমাণ পানির প্রয়োজন। কর্ণফুলী নদীতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০২০ সালে ৭২ দিনের জন্য প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয়।

আনোয়ারা উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ সহকারী প্রকৌশলী প্রিয়াঙ্কা চাকমা বলেন, "আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে গেছে। এমনকি বেসরকারি এন্টারপ্রাইজ কর্তৃক স্থাপিত কয়েকটি ৭৫ মিটার গভীর নলকূপ ব্যবহার করেও এখন আর পানি উত্তোলন করা যায় না।"

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিও বর্তমানে পানি সংকট নিয়ে চিন্তিত। ইতোমধ্যে সংস্থার পক্ষ থেকে কয়েকবার শিল্প মন্ত্রণালয় এবং একবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নিকট লিখিতভাবে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, "বর্তমানে, চট্টগ্রামের সবথেকে বড় সমস্যা হলো পানি সংকট। আর তাই, আমরা শিল্প মন্ত্রণালয়ের কাছে মেঘনা নদী থেকে বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরের জন্য সংগৃহীত পানির একটি অংশ চট্টগ্রামে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। পানি সমস্যার সমাধান না হলে, চট্টগ্রামে বড় ধরনের বিপর্যয় হবে।"

শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (নীতি, আইন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা) মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, "২০২১ সালের জাতীয় নীতিমালায় শিল্পাঞ্চলে পানি সম্পদের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে অবশ্যই বৃষ্টির পানি ও পৃষ্ঠজলের দিকে নজর দিতে হবে। ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর করে কোনো শিল্প কারখানা চলতে পারে না। প্রয়োজন হলে তারা নদীর পানি পরিশোধনের পর তা ব্যবহার করবে।"

পানি সংকট যেভাবে তীব্রতর হচ্ছে

গত ১২ বছরে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ১৩ মিটার পর্যন্ত নেমে গেছে।

উল্লেখজনক হারে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় বিজ্ঞানীরা এই অঞ্চলে প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপর্যয় সংগঠিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন।

ভূগর্ভস্থ পানির অবাধ ব্যবহার বন্ধ করা না হলে, আসন্ন দিনগুলোতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন তারা।

একইভাবে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কর্ণফুলী এবং হালদা নদীর পানিও ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

গত ৩৩ বছরে, কর্ণফুলী নদীর লবণাক্ততা প্রায় তিন হাজার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

চট্টগ্রাম ওয়াসার মতে, ২০০৪ সালে হালদা নদীর সর্বোচ্চ লবণাক্ততা ছিল ৯০ পিপিএম। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর এই লবণাক্ততা ১১ হাজার পিপিএমে গিয়ে পৌঁছেছে।

কর্ণফুলীর আশেপাশের শিল্প-কারখানাগুলোও পানি সংকটে পড়েছে।

তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যথাযথ তত্ত্বাবধান এবং পরিকল্পনার মাধ্যমে এখনও এই বিপর্যয়ের মাত্রা কমানো সম্ভব।

ভূগর্ভস্থ পানি সম্পদ বিভাগের মতে, ১৯৬৮ সালে, গভীর নলকূপগুলো সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১২ মিটার গভীরতাতে পানির নাগাল পেতো। কিন্তু, এখন ৫০ মিটার গভীরেও পানির নাগাল পাওয়া কঠিন।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের ২০১৬ সালের ভূগর্ভস্থ পানির আঞ্চলিক বিভাজন মানচিত্র অনুযায়ী চট্টগ্রামসহ ৪৮টি জেলার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দেড় থেকে তিন মিটার পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে।

আনোয়ার জাহিদ বলেন, "১৯৮০ সালে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকায় মাত্র দুই মিটার গভীরতায় পানির সন্ধান পাওয়া যেত। কিন্তু, বর্তমানে ২২ মিটার গভীরতাতেও পানির নাগাল পাওয়া কঠিন। আগ্রাবাদ এলাকায় পানির স্তর ভূমি থেকে ১৮ মিটার গভীরে।"

"চট্টগ্রামে ভূগর্ভস্থ পানির অবস্থান দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো নয়। পার্বত্য অঞ্চল হওয়ায় বালি এবং শিলা স্তরের কারণে ভূগর্ভস্থ পানির তল ওঠানামা করে। এছাড়া, সীতাকুণ্ড এবং মিরসরাই শিল্পাঞ্চলের মাটি বেশ পাথুরে, আর তাই, এখানে ভূগর্ভস্থ পানি জমে থাকে না," বলেন তিনি।

ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পরিচালক ড. সালিমুল হক বলেন, "জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে হালদা, কর্ণফুলী এবং ভূগর্ভস্থ পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি, পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমনে আমাদের জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।"  
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.