পটিয়ার হাবিলাসদ্বীপে পানি সংকট, আদালতের রায় বাস্তবায়নে বেলার গণশুনানি

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট 
02 December, 2021, 10:20 pm
Last modified: 02 December, 2021, 10:31 pm
২০১৯ সালে এ এলাকার শিল্প-কারখানায় ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন বন্ধ করে পরিবেশ বিপর্যয় রোধে নির্দেশনা দেন মহামান্য হাইকোর্ট। আদালতের রায়ের পরও সরকারি বিভিন্ন সংস্থা এবং শিল্প মালিকরা সে আদেশ বাস্তবায়ন করেনি।

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নে শিল্প-কারখানার কারণে পানি সংকট তীব্রতর হয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগী অনেকের চর্মরোগসহ নানাবিধ রোগবালাই দেখা দিয়েছে। 

এই প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে এ এলাকার শিল্প-কারখানায় ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন বন্ধ করে পরিবেশ বিপর্যয় রোধে নির্দেশনা দেন মহামান্য হাইকোর্ট। আদালতের রায়ের পরও সরকারি বিভিন্ন সংস্থা এবং শিল্প মালিকরা সে আদেশ বাস্তবায়ন করেনি। এ বাস্তবতায় প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় দ্রুত সময়ের মধ্যে রায়টি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় জনগণ। 

আজ বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) গণশুনানির আয়োজন করে। হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের ভুক্তভোগী বাসিন্দা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও সরকারি সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন। 

বেলার প্রধান নির্বাহী রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে গণশুনানিতে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা পরিবেশ দূষণ ও পানি সংকটের জন্য সরকারি সংস্থাগুলোর উদাসীনতাকে দায়ী করে বলেন, নিজ চোখে দেখছে না বলে কেউ এলাকাবাসীর কষ্ট উপলদ্ধি করছে না। তাই এর সমাধানও হচ্ছে না। 

গণশুনানিতে উপস্থিত পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-পরিচালক সেলিনা আকতার বলেন, হাবিলাসদ্বীপ এলাকায় ৮টি কারখানার মধ্যে ৫টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। তা ছাড়া নিয়মিত অভিযান পরিচালনার সময় চালু থাকা কারখানা বনফুল, শাহ আমানত ও হাক্কানী পেপারের ইটিপি চালু পাওয়া যায়। পরিবেশ অধিদফতরের অনুমোদনের মেয়াদ থাকায় এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করেছেন তিনি।

এসময় বেলার পক্ষ থেকে জানানো হয়, দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন করা না হলে; আদালতে আবেদন করে রায় বাস্তবায়নে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৫ সালে হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের শিল্প কারখানার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থে মামলা দায়ের করে বেলা। 

মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে, ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর আদালত ১৩টি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনাসহ পানি সংকটের বিষয়ে স্থানীয় জনগণের পক্ষে রায় প্রদান করেন। যদিও এপর্যন্ত অভিযুক্ত শিল্প মালিক ও সরকারি কোন সংস্থাই রায় বাস্তবায়নে উদ্যোগী হয়নি বলে অভিযোগ বেলা ও স্থানীয়দের।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.