নোয়াখালীতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় আরও ৩ জনের জবানবন্দি

বাংলাদেশ

নোয়াখালী প্রতিনিধি
24 October, 2021, 12:25 pm
Last modified: 24 October, 2021, 01:35 pm
পুলিশ জানিয়েছে, মন্দিরে হামলার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার দিনব্যাপী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীর শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গৌর নিত্যানন্দ বিগ্রহ (ইসকন) মন্দির, শ্রী শ্রী রাম ঠাকুর চন্দ্র মন্দির ও শ্রী শ্রী রাধামাধব জিউর মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দিরে হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আরও ৩ আসামী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। 

এর আগে একই ঘটনায় আব্দুর রহিম সুজন (১৯) নামের এক আসামীর জবানবন্দি নেওয়া হয়।

শনিবার রাতে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নবনীতা গুহ আসামীদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। 

জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ৩ আসামী আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে হামলার ঘটনায় নিজদের দায় স্বীকার করেছে। 

"তারা জানিয়েছে, ঘটনার দিন তারা প্রথমে মিছিলে ছিলো। পরে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ও মন্দিরে হামলায়ও জড়িত ছিল তারা," বলেন তিনি।

"একইসঙ্গে তারা জবানবন্দিতে কয়েকজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে জানিয়েছে, তারা চৌমুহনীতে আসার জন্য তাদেরকে নির্দেশনা দেয়," যোগ করেন তিনি। 

পুলিশ ওই নির্দেশদাতাদের গ্রেপ্তারের জন্য রাত থেকে অভিযান পরিচালনা করছে বলে জানান তিনি।

ইতোমধ্যে জবানবন্দিতে হামলায় অংশগ্রহণকারী হিসেবে নাম আসায় চৌমুহনী করিমপুর খালপাড় এলাকা থেকে মো. রাব্বি (২০) নামের আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

পুলিশ জানিয়েছে, মন্দিরে হামলার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার দিনব্যাপী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে চৌমুহনীতে হামলার ঘটনায় দায়ের করা ২৯নং মামলায় রাতে তাদের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৩ এ হাজির করা হয়।

জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে বেগমগঞ্জের বিভিন্ন মন্দিরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা ১০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ, গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ পর্যন্ত ১২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যার মধ্যে ৪জন আসামী হামলার ঘটনায় নিজেদের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

ঘটনা তদন্তে পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে ১টি, চট্টগ্রাম ডিআইজি কার্যালয় থেকে ১টি, জেলা পুলিশ থেকে ১টি এবং জেলা প্রশাসক থেকে ১টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলেন, বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের ছোট শরীফপুর গ্রামের আরাফাত হোসেন আবির (১৯), হাজীপুর ১নং ওয়ার্ডের ইব্রাহিম খলির রাজিব (২৪) ও চৌমুহনী পৌরসভা গণিপুর এলাকার রিপন আহম্মেদ মাহির (১৯)।

 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.