নারী কর্মসংস্থান ১ শতাংশ বাড়লে জিডিপিতে যোগ হবে ১১.৩ বিলিয়ন ডলার: সানেম

বাংলাদেশ

টিবিএস ডেস্ক
20 November, 2021, 01:25 pm
Last modified: 20 November, 2021, 01:26 pm
জেন্ডার-রেসপন্সিভ নীতি এবং বাজেট বরাদ্দের মাধ্যমে অবৈতনিক পরিচর্যা কাজের ধারণাটিকে আরও সমন্বিত এবং স্বীকৃত করার লক্ষ্যে এমজেএফ এর সাথে কাজ করছে সানেম।

দেশে নারী কর্মসংস্থানের হার ১ শতাংশ বাড়লে চলতি বছরের জিডিপিতে অতিরিক্ত ১১.৩ বিলিয়ন ডলার যোগ হবে বলে জানিয়েছে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)।

সানেম এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) আয়োজিত 'ইন্টিগ্রেশন অব দ্য কেয়ার ইকোনমি ইন পলিসি ফরমুলেশন অ্যান্ড অ্যানালিসিস' শীর্ষক ওয়েবিনারে এ নিয়ে আলোচনা হয়। শ্রমবাজারে নারীদের অর্থনৈতিক অবদান এবং অংশগ্রহণে গুরুত্বারোপের ওপর জোর দেয় তারা।

জেন্ডার-রেসপন্সিভ নীতি এবং বাজেট বরাদ্দের মাধ্যমে অবৈতনিক পরিচর্যা কাজের ধারণাটিকে আরও সমন্বিত এবং স্বীকৃত করার লক্ষ্যে এমজেএফ এর সাথে কাজ করছে সানেম।

তাদের গবেষণার লক্ষ্য হলো, সামাজিক সুরক্ষা, লিঙ্গ বৈষম্য ও তরুণ নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে পরিচর্যা কাজ এবং পাবলিক বিনিয়োগের মধ্যে সংযোগ চিহ্নিত করা।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নারীরা বেশিরভাগ সময়ই অবৈতনিক কাজ করে থাকে। পরিচর্যা পরিষেবার সম্প্রসারণ দেশে ও বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারে বলে উল্লেখ করে তারা। এর মাধ্যমে শ্রমবাজারে লিঙ্গ সমতা রক্ষা হবে বলেও জানায় তারা।

তাদের জরিপে বলা হয়, প্রাসঙ্গিক স্কিমগুলোর মাধ্যমে এসব নারীদের বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করা হবে। ফলে একটি পরিবারে নারীদের অবৈতনিক সেবার চাপ কমতে পারে এবং লেবার ফোর্স পার্টিসিপেশন (এলএফপি) বাড়তে পারে।

ঠিক কী উপায়ে অবৈতনিক পরিচর্যা কাজকে স্বীকৃতি দেওয়া যায়, এর হার কমানো যায় এবং এই কাজ পুনর্বন্টন করা যায় তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয় এ সম্মেলনে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হানের সঞ্চালনায় এই ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এমজেএফ-এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সায়েমা হক বিদিশা, সানেমের গবেষণা পরিচালক ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের যুগ্ম সচিব বেবী রানী কর্মকার, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. শেখ মুসলিমা মুন।
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.