নতুন স্বামীর ঘরে আগুন দিল সাবেক স্বামী, প্রাণ গেল স্ত্রীর

বাংলাদেশ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
05 March, 2020, 05:10 pm
Last modified: 05 March, 2020, 05:12 pm
টানা ১৩ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি থাকার পর বুধবার দুপুরে ফারহানা আক্তার রত্না নামে ওই নারী মারা যান।

সাবেক স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন সাতক্ষীরার এক নারী।

টানা ১৩ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি থাকার পর বুধবার দুপুরে ফারহানা আক্তার রত্না নামে ওই নারী মারা যান।

ফারহানার মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তারা বলছে, তদন্ত চলমান।

নিহত ফারহানা খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার মালোত গ্রামের রোকন সরদারের মেয়ে। সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের অসীম সাধুর বাড়িতে স্বামীসহ ভাড়া থাকতেন তিনি।

তার বাবা রোকন সরদার জানান, ২০০৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর খুলনার ভরতভায়না গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমানের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। মিজানুর রহমান যৌতুকের জন্য মেয়েকে নির্যাতন করতো। এ নিয়ে বিরোধ হওয়ায় মিজানুর ও ফারহানার মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। গত চার মাস আগে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার মৃত. আবদুস সাত্তারের ছেলে হাসিবুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় ফারহানার।

তিনি আরও বলেন, গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাত একটার দিকে তার মেয়েজামাই হাসিবুর রহমান মশার কয়েল কিনতে দোকানে যান। ওই মুহূর্তে 'আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা' ফারহানার সাবেক স্বামী তার ঘরের ভেতর পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে পালিয়ে যায়।

ফারহানার চিৎকারে বাড়ির মালিকসহ স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তালা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সেখান থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরবর্তী সময়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয় তাকে।

রোকন সরকার বলেন, "আগুনে পুড়ে মেয়ে মারা গেল, মামলা করেছি। তবে পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।"

ঘটনার বিষয়ে তালা থানার ওসি মেহেদী রাসেল বলেন, "ফারহানার সাবেক স্বামীসহ চারজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.