নগদের ৪৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সিরাজগঞ্জ শপের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
03 October, 2021, 01:10 pm
Last modified: 03 October, 2021, 03:17 pm
মামলায় বলা হয়, গত ৩০ ও ৩১ আগস্ট বিভিন্ন নগদ অ্যাকাউন্টে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য বারবার ‘রিফান্ড রিকোয়েস্ট’ পাঠিয়ে নগদ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সিরাজগঞ্জ শপ ডটকম।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান সিরাজগঞ্জ শপ প্রতারণার মাধ্যমে আর্থিক পরিসেবা প্রতিষ্ঠান নগদের ৪৭ কোটি ৪৩ লাখ ১৮ হাজার ৯৬৩ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির মালিক জুয়েল রানার (২২) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে নগদ।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর বনানী থানায় মামলাটি করেন নগদের আইন শাখার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী। মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গত ৩০ ও ৩১ আগস্ট বিভিন্ন নগদ অ্যাকাউন্টে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য বারবার 'রিফান্ড রিকোয়েস্ট' পাঠিয়ে নগদ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সিরাজগঞ্জ শপ ডটকম। 

এ বিষয়টি সামনে আসার পরই সিরাজগঞ্জে নগদের কয়েক হাজার অ্যাকাউন্টের লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ টাকার অধিকাংশই গেছে জুয়েল রানা ও তার স্বজনদের অ্যাকাউন্টে। এখন পর্যন্ত জুয়েল রানা পলাতক বলেও জানা গেছে। 

নগদের ডিজিটাল সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অস্বাভাবিক লেনদেনের ঘটনা ধরা পড়ে। এ অস্বাভাবিক লেনদেন প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিল একই সঙ্গে অস্বাভাবিক মাত্রার বেশি পরিমাণে রিফান্ড রিকুয়েস্ট পাঠানো, একই পরিমাণ টাকার একই অ্যাকাউন্টে বারবার রিফান্ড রিকুয়েস্ট, সরবরাহকৃত পণ্যের বিপরীতে 'রিফান্ড রিকুয়েস্ট' পাঠানো, অর্ডার এমাউন্টের সঙ্গে রিফান্ড এমাউন্টের গরমিল। ক্রয়াদেশের টাকার তুলনায় বেশি টাকা ফেরত দেওয়ার অনুরোধ ও গভীর রাতে টাকা ফেরতের অনুরোধ।

তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী মামলায় উল্লেখ করেন, টাকা আত্মসাতের ঘটনা সামনে আসার পর ওই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির মালিক জুয়েল রানাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। এছাড়াও টাকা ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করা হয়।

পরবর্তী সময়ে, গত ২ সেপ্টেম্বর জুয়েল রানা নগদকে চিঠি পাঠান। কিন্তু এরপর থেকেই তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় মামলার নথিতে। 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.