নওগাঁ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ৩ বাংলাদেশি নিহত

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
23 January, 2020, 03:55 pm
Last modified: 23 January, 2020, 03:59 pm
এর আগে গত বুধবারও লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। এ নিয়ে গত দুই দিনে পাঁচ বাংলাদেশি নিহত হলেন।       

নওগাঁর পোরশা উপজেলার দুয়ারপাল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ছোঁড়া গুলিতে বাংলাদেশি তিন গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার দুয়ারপাল সীমান্ত এলাকার ২৩১/১০(এস) মেইন পিলারের নীলমারী বীল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন পোরশা উপজেলার বিষ্ণপুর বিজলীপাড়ার শুকরার ছেলে রনজিত কুমার (২৫), দিঘীপাড়া গ্রামের খোদাবক্সের ছেলে মফিজুল ইসলাম (৩৫) এবং কাঁটাপুকুরের মৃত্যু জিল্লুর রহমানের ছেলে কামাল হোসেন (৩২)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে কয়েকজন যুবক ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে গরু আনতে যায়। তারা গরু নিয়ে বাংলাদেশে ফেরার পথে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে পোরশার উপজেলার দুয়ারপাল সীমান্ত এলাকার ২৩১/১০(এস) মেইন পিলারের নীলমারী বীল এলাকায় ভারতের ক্যাদারীপাড়া ক্যাম্পের বিএসএফ জোয়ানরা গরু ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। 

এসময় অন্যরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও গুলিতে তিন বাংলাদেশি যুবক গুলিবিদ্ধ হন। এতে গরু ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের ২০০ গজ অভ্যন্তরে তার লাশ পড়ে ছিল। আর গরু ব্যবসায়ী রনজিত কুমার ও কামাল হোসেনের লাশ ভারতের ৮০০ গজ অভ্যন্তরে পড়ে ছিল।

এ বিষয়ে ১৬-বিজিবি হাঁপানিয়া ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার মোখলেছুর রহমান জানান, তিনজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা শুনেছি। তবে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এছাড়া অপর দু’জন ভারতের অভ্যন্তরে মারা গেছে কি না খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

বিকেলে নওগাঁর পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া পোরশা থানার ওসি শাহিনুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল  রওনা হয়েছেন।   
              
এর আগে গত বুধবার লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ।       

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.