ধরলার পানি বিপদসীমার ৫৯ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত

বাংলাদেশ

রংপুর প্রতিনিধি
04 July, 2020, 12:50 pm
Last modified: 04 July, 2020, 12:58 pm
উজানের ঢলে আবারও ধরলা ও তিস্তার পানি বাড়ছে। নীলফামারীর তিস্তার ডালিয়ার ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ভারি বর্ষণে তিস্তা নদীর উজানের ঢলে আবারও ধরলা ও তিস্তার পানি বাড়ছে। ধরলা, দুধকুমার এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি প্রবাহ এখনও বিপদসীমার ওপর থাকায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এছাড়া নীলফামারীর তিস্তার ডালিয়ার ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
 
তিস্তার পানি ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর, কাউনিয়া পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি কুলাঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বন্যার পানিপ্রবাহের রেকর্ড অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সদররে ধরলা ব্রিজ পয়েন্টে ধরলার পানি ১৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর এবং সদর উপজেলার নুনখাওয়া পয়েন্টে দুধকুমারের পানি ১৮ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর এবং চিলমারী উপজেলার চিলমারী ঘাট পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ১৬ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। 

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আরিফুল ইসলাম জানান,এক সপ্তাহ পর দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি এভাবে ধীরে ধীরে কমবে। এক সপ্তাহের মধ্যে আবারও পানি বাড়বে। এ মাসের ৭/৮ তারিখের পর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। কুড়িগ্রামের ধরলা, দুধকুমার এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ওপর থাকায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। 

উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পানি শাখা)এএসএম আমিনুর রশিদ জানান, উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অন্যদিকে নীলফামারীর তিস্তার ডালিয়ার ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ২২সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে, তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি স্লুইস গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তিস্তা ব্যারেজের গেজ পাঠক নুরুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে নেমে আসা ঢল ও অনবরত বৃষ্টির ফলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ২২ সেন্টিমিটার বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহিদী হাসান জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি । 

উত্তরাঞ্চলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ জানান,ভারি বর্ষণে প্রধান নদ-নদীর পানি ও উজানের ঢলে আবারও রংপুরের কাউনিয়ার তিস্তার পানি বেড়েছে। 
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.