দেশে ফিরতে না পেরে পেট্রাপোল বন্দরে বিক্ষোভ বাংলাদেশি যাত্রীদের 

বাংলাদেশ

টিবিএস ডেস্ক
27 April, 2021, 03:45 pm
Last modified: 27 April, 2021, 05:34 pm
যারা এনওসি (অনাপত্তিপত্র) আনছেন, কেবল তারাই বাংলাদেশে ফিরতে পারবেন।

পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বন্ধ হয়ে গেছে ভারত-বাংলাদেশ পেট্রাপোল সীমান্ত। বন্ধ যাত্রী পারাপার। এর ফলে দিনভর পেট্রাপোল সীমান্তে আটকে ছিলেন কয়েকশ বাংলাদেশি নাগরিক। শেষ পর্যন্ত দেশে ফিরতে না পেরে বিক্ষোভের পথ বেছে নেন মেডিকেল ভিসায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা সেসব যাত্রী৷ সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে পেট্রাপোল সীমান্তে চলে বাংলাদেশি নাগরিকদের এ বিক্ষোভ। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের।     

করোনার সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় ২৬ এপ্রিল থেকে ৯ মে পর্যন্ত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধ থাকবে সকল ধরনের যাতায়াত। গতকাল থেকেই এ নির্দেশ কার্যকর করা হয়েছে। ফলে পূর্ব ঘোষণা ছাড়া গৃহীত এ সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন দু'পারের যাত্রীরাই।  

ভারতে চিকিৎসা করাতে এসে আটকে পড়েছেন কয়েকশো বাংলাদেশি রোগী ও তাদের আত্মীয়রা৷ দেশে ফেরার জন্য সোমবার সকাল থেকেই পেট্রাপোল বন্দরে এসেছিলেন তারা।   

সন্ধ্যার পর থেকে বাংলাদেশি যাত্রীরা পেট্রাপোল সীমান্তে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের অনেকেরই সোমবার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে। খরচ চালানোর মতো টাকাও তাদের হাতে নেই। তাই তারা দেশে ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন রোগী এবং শিক্ষার্থীদের অনেকে। 

তাদের বক্তব্য, ভিসার মেয়াদ শেষ। হাতে প্রয়োজনীয় টাকাও নেই। দেশে ফিরতে না পারলে এপারে না খেয়ে মরতে হবে। 

কুষ্টিয়া থেকে চিকিৎসা করাতে ভারতে গেছেন স্বপন কুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন "পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাত করে বাংলাদেশ সরকার যাত্রী পারাপারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বিপাকে পড়েছি আমরা। এভাবে না খেয়ে মরার চেয়ে জোর করে বাংলাদেশে ঢুকতে গিয়ে গুলি খেয়ে মরব।"  

সংবাদমাধ্যমকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন ক্যান্সার আক্রান্ত আরেকজন বাংলাদেশি নাগরিক করিমুন্নেসাI তিনি বলেন, "টাকা শেষ হয়েছে। অথচ দেশে ফিরতে পারছি না। এখন কি করব জানি না।"    

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের দেশে ফেরানোর আবেদন জানান নড়াইলের স্কুলছাত্রী রিয়া মণ্ডল। তিনি ভারতে অপারেশন করাতে এসেছিলেন।  

পেট্রাপোল সীমান্তে অভিবাসন দপ্তরের কর্মকর্তা তরুণ বিশ্বাস জানান, "বাংলাদেশ সরকার ভারত থেকে যাতায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তাই বর্ডারের গেট বন্ধ আছে। যারা বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে এনওসি (অনাপত্তিপত্র) আনছেন, কেবল তারাই বাংলাদেশের ফিরতে পারবেন।"
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.