টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু

বাংলাদেশ

কক্সবাজার প্রতিনিধি
13 November, 2020, 06:45 pm
Last modified: 13 November, 2020, 06:48 pm
দীর্ঘ আট মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর চলতি মৌসুমে নতুন করে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়ায় সবার মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজের আনুষ্ঠানিক চলাচল আবারও শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকালে কেয়ারি সিন্দাবাদ ও ফারহান ক্রোজ যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রয়ানা দেওয়ার মধ্য দিয়ে ৮ মাস পর টেকনাফ থেকে পর্যটকরা সেন্টমার্টিন যাবার সুযোগ পেয়েছেন।

প্রতিটি জাহাজের শতাধিক পর্যটক রাত্রিযাপনের উদ্দেশ্যে সেন্টমার্টিন রয়ে গেছেন। বাকি পর্যটক নিয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আবার টেকনাফের দমদমিয়া ঘাটে পৌঁছায় জাহাজ দুটি। এমনটি জানিয়েছেন কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজের টেকনাফের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহ আলম।

সূত্র জানায়, সামনে পর্যটন মৌসুম। করোনার থাবা রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজকে যাত্রি পরিবহণের অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন। কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করে কেয়ারি সিন্দাবাদ ও ফারহান ক্রোজকে অনুমতি দেওয়ার পর শুক্রবার সকালে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে পর্যটক বোঝাই করে সেন্টমার্টিনে যায় জাহাজ দুটি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক নয়ন শীল বলেন, চলতি মৌসুমে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে চলাচলের জন্য দুটি জাহাজে অনুমতি চেয়েছে। তার মধ্যে কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজকে গত ১ অক্টোবর থেকে ১২ ডিসেম্বর এবং এমভি ফারহান পর্যটকবাহী জাহাজকে ৪ নভেম্বর থেকে আগামী বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অনুমতি পেয়েও হয়তো আভ্যন্তরীণ কারণে এতদিন জাহাজগুলো চলাচল করেনি।  

কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজের টেকনাফের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, জেলা প্রশাসকের ছাড়পত্র পেয়ে শুক্রবার থেকে জাহাজ চলাচল শুরু করেছি। যদিও এর আগে বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ-পরিবহন দফতরের ছাড়পত্র পায় আমরা। করোনার থাবার ওপর দৃষ্টি রেখে সেন্টমার্টিনে পর্যটক আনা-নেওয়া চালু থাকবে। 

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, যদিও কক্সবাজার থেকে সরাসরি কর্ণফূলী নামে একটি জাহাজ সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে চলাচল অব্যাহত রয়েছে আগস্ট থেকে, এতে দ্বীপে তেমন সাড়া পড়েনি। টেকনাফ থেকে জাহাজ ছাড়ার খবরে পর্যটন ব্যবসায়ীরা তাদের আবাসিক হোটেল ও কটেজগুলো সাজিয়ে রেখেছিলেন। জাহাজ চলাচলের খবরে দ্বীপে সব শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।

দীর্ঘ আট মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর চলতি মৌসুমে নতুন করে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়ায় সবার মাঝে স্বস্তি ফিরেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.