টানা ১৯ দিন পর দৈনিক মৃত্যু কমে ২০০'র নিচে

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
13 August, 2021, 06:05 pm
Last modified: 13 August, 2021, 06:48 pm
মারাত্মক সংক্রামক এই ভাইরাসটি গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে দেশের আরও ৮ হাজার ৪৬৫ জনের দেহে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে আরও ১৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভাইরাসটির সংক্রমণ ও এর ফলে মৃত্যু ঠেকাতে টানা লকডাউন শিথিলের পর গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার দেশে ২৩৭ ও ২১৫ জনের মৃত্যু হলেও আজ শুক্রবার মৃত্যু কিছুটা কমেছে। গত চার সপ্তাহ যাবত প্রায় প্রতিদিনই দুইশো'র কমবেশি মৃত্যু হচ্ছে করোনায়।

গত এক বছরেরও বেশি সময়জুড়ে প্রাণঘাতি এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ২৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এ পর্যন্ত দেশে ২৩ হাজার ৮১০ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিডজনিত কারণে।

গত এক বছরে দেশে যতো মানুষ করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ১ দশমিক ৬৯ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে এই রোগে।

মারাত্মক সংক্রামক এই ভাইরাসটি গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে দেশের আরও ৮ হাজার ৪৬৫ জনের দেহে। এর আগে গত ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছিল।

মহামারি শুরুর পর থেকে সব মিলিয়ে এই শনাক্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৪ লাখ ৫ হাজার ৩৩৩ জনে। গত বছর থেকে দুইটি আলাদা ওয়েভে দেশে করোনার উচ্চ সংক্রমণ দেখা গেলেও চলতি বছরের জুনের প্রথমার্ধ থেকেই করোনা শনাক্তের পরিমাণ ব্যাপকহারে বাড়তে শুরু করেছে। বিগত কয়েক সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিনই ১০ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে দেশে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ হাজার ৬৪১টি কোভিড পরীক্ষার বিপরীতে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে শতকরা ২০ দশমিক ৮৩ জনের মধ্যে।

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে করোনাভাইরাস বিষয়ে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত এক বছরে মোট ৮৩ লাখ ৪২ হাজার ১৯০টি নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় গত এক বছরে সংক্রমণের হার ১৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে পুরুষ ১০৭ জন ও নারী ১০৮ জন।

অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে দেশে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা নারীদের দ্বিগুণেরও বেশি। তবে গতকাল বৃহস্পতিবারই প্রথমবারের মতো পুরুষের চেয়ে বেশি একজন নারীর মৃত্যুর কথা জানায় অধিদপ্তর। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ১০৮ জন পুরুষ ও ৮৯ জন নারী। 

ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১ হাজার ৪৫৭ জন কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট ১২ লাখ ৭৩ হাজার ৫২২ জন সেরে উঠলেন প্রাণঘাতি এই ভাইরাস থেকে।

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে সে বছরের ১৮ মার্চ।

করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য একটি বিশেষ ওয়েবসাইট (www.corona.gov.bd) চালু রেখেছে সরকার।

ভাইরাসটির মোকাবিলায় ফেব্রুয়ারি থেকেই দেশজুড়ে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে সরকার। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন দিয়ে এই কর্মসূচী শুরু হলেও ভারত ভ্যাকসিন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় এই কর্মসূচী অনেকটাই স্তিমিত হয়ে পড়ে। বর্তমানে চীন থেকে আনা সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন এবং ভ্যাকসিন বিষয়ক আন্তর্জাতিক জোট গ্যাভির বিশ্বব্যাপী টিকাদান কার্যক্রম কোভ্যাক্সের মাধ্যমে পাওয়া ফাইজার ও মডার্নার টিকার মাধ্যমে ফের এ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। জাপানের উপহার দেওয়া অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে প্রথম ধাপে বাদ পড়াদের টিকাদান শুরু হয়েছে ২ আগস্ট থেকে।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.