জেলা পরিষদের চেক দিয়ে ৬ লাখ টাকা চুরি

বাংলাদেশ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
08 September, 2020, 10:30 am
Last modified: 08 September, 2020, 10:32 am
এ ঘটনায় সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এসএম খলিলুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন৷

সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সরকারি চেক বইয়ের তিনটি পাতা চুরি করে তা দিয়ে ৬ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

এ ঘটনায় জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এসএম খলিলুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন৷ 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সোনালী ব্যাংক লি: সাতক্ষীরা শাখায় জেলা পরিষদ এর নামে ২৮১৮২০০০৬১২৩২ নং একটি হিসাব পরিচালিত হয়ে আসছিল। যা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যান জেলা পরিষদ এর যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হয়। উক্ত হিসাবের বিপরীতে যাবতীয় চেক বই ও কাগজপত্র হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবু হুরাইয়া সংরক্ষণ করে থাকেন। গত ২৭ আগস্ট উক্ত হিসাবের বিপরীতে জনৈক আবুল হোসেন নামীয় ব্যক্তির পক্ষে ৬ লাখ ১০ হাজার টাকার একটি চেক ব্যাংকে উপস্থাপন করেন। কিন্তু চেকে থাকা স্বাক্ষর দেখে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হলে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। পাশাপাশি চেকটি জেলা পরিষদ থেকে ইস্যু করা হয়নি। পরিস্থিতি বুঝে চেকটি ব্যাংকে উপস্থাপনকারি ব্যক্তি এরই মধ্যে সটকে পড়েন।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, উক্ত হিসাবের বিপরীতে চ.হি. গঙ/৫০ নম্বর চেক বইয়ের সর্বশেষ ০১৮২৩০০, ০১৮২৩৪৯ ও ০১৮২৩৫০ নম্বরসহ মোট ৩টি পাতা চেক বইতে রক্ষিত নাই। করোনাকালে জেলা পরিষদের কয়েকজন আক্রান্ত হওয়ায় অনিয়মিত অফিস পরিচালিত হওয়ার ফাঁকে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। এরপর ২৭ আগস্ট সোনালী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার টেলিফোনে জেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামকে অবহিত করার পর বিষয়টি তাদের নজরে আসে।

এর আগে ২৩ জুলাই ০১৮২৩০০ নং চেকের পাতা ব্যাংকে জমা দিয়ে ৬ লক্ষ টাকা অজ্ঞাত ব্যক্তি কর্তৃক উত্তোলন করা হয়েছে। কে বা কারা এই চেকের পাতা চুরি বা টাকা উত্তোলন করতে পারে তা নিয়ে জেলা পরিষদের অভ্যন্তরে বেশ জল্পনা কল্পনা চলছে।

এদিকে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সদর থানার এসআই শেখ হাবিবুর রহমান জানান, মামলা রুজু করার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে গভীরভাবে অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানান, জেলা পরিষদ থেকে চেকের পাতা চুরি এবং ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের ঘটনায় বাইরের কেউ থাকতে পারে। তবে জেলা পরিষদের ভিতরের কেউ আছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। জেলা পরিষদ থেকে ব্যাংকে প্রেরিত চেকের সাথে প্রদত্ত এ্যাডভাইসও নকল করা হয়েছে। জেলা পরিষদের অভিজ্ঞ কোন লোক না থাকলে টাকা উঠানো সম্ভব নয়। ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। চোরেরা রক্ষা পাবে না।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.