চীনাদের ছুটি বাড়লে পদ্মাসেতুর কাজে সমস্যা হবে: কাদের

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
05 February, 2020, 04:00 pm
Last modified: 05 February, 2020, 06:00 pm
তবে এর ফলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ও মেট্রোরেল প্রকল্পে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান তিনি।

পদ্মা সেতু প্রকল্পে যেসব চীনা নাগরিকরা কর্মরত রয়েছেন করোনা ভাইরাসের কারণে তাদের ছুটি প্রলম্বিত হলে সেতুর কাজে সমস্যা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

বুধবার সচিবালয়ে সকল প্রকল্প ও মন্ত্রণালয়ের অধীনে সব কাজের অগ্রগতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, “এখানে চীনা নাগরিক বর্তমানে ৯৮০ জন কর্মরত রয়েছে। এর মধ্যে থেকে বাইরে (ছুটিতে) আছে ৩৩২। ইতোমধ্যে ছুটি থেকে ফিরে এসেছে ৩৩ জন। ৩৩ জনের মধ্যে আটজন কোয়ারেন্টাইন মুক্ত, বাকিরা কোয়ারেন্টাইনে আছে।

“যদি আগামী দুই মাসের মধ্যে এই অচলাবস্থার (করোনাভাইরাস) অবসান হয় তাহলে আমাদের আমাদের কোনো অসুবিধা নেই। আমাদের কাজ চলতে থাকবে যদি না এর মধ্যে ছুটি প্রলম্বিত হয়। তারা নববর্ষের ছুটিতে গেছে। আগামী ১০ তারিখে ১৪ নম্বর স্প্যান বসবে। আগামী দুই মাসের মধ্যে পদ্মার কাজের অগ্রগতিতে কোনো সমস্যা নেই।”

ছবি: মুমিত এম/ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড

বাইরে থাকা চীনাদের ছুটি দুই মাসের বেশি হলে সমস্যা হবে কিনা এবং বিকল্প কোনো ব্যবস্থায় কাজ করা হবে কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “দুই মাসের বেশি হলে কিছু সমস্যা হবে। চুক্তি যাদের সাথে তারা বিকল্প কোথা থেকে দেবে? মাস দুয়েকের মধ্যে অসুবিধা হবে না। ওদের অনুপস্থিতিতে সমস্যা হচ্ছে না, সমস্যা হবে দুই-আড়াই মাস পরে। জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিকূল পরিস্থিতি না হলে সব কয়টি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে পদ্মা সেতুতে।” 

আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করবেন বলে জানান তিনি। 

মেট্রোরেল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মেট্টোরেলের কাজে ৪২ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। তারমধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও ৬৮ শতাংশ এবং আগারগাঁও থেকে মতিঝিল ৩৮ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে।

মেট্রোরেলে ৫৮ জন চীনা নাগরিক রয়েছে জানিয়ে কাদের বলেন, তাদের মধ্যে চীনে গেছেন ৩১ জন, ফেরত এসেছেন ১ জন। তিনি আবার কোয়ারেন্টাইনে আছেন। মেট্রোরেলে কোনো প্রভাব পড়বে না, ২০২১ সালে কাজ শেষ হবে।

বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্প নিয়ে কাদের জানান, এ প্রকল্পে ৭২ জন চীনা নাগরিক কাজ করেন, তাদের মধ্যে মাত্র ১ জন ছুটিতে রয়েছেন। ২০২১ সালে প্রকল্পটি শেষ হবে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নিয়ে তিনি বলেন, প্রথম পর্বের কাজ ৫৫ শতাংশ কাজ হয়েছে। এখানে ২০জন চীনা নাগরিক কাজ করেন, যাদের মধ্যে ১৮ জন ছুটিতে। মোট কর্মরত আছেন ৩৮ জন।

এছাড়া, গাজীপুর-টাঙ্গাইল চার লেনের কাজ জুনে শেষ হবে এবং কর্ণফুলি টানেলের কাজ ৫১ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.