চট্টগ্রামে রোগীর মৃত্যু: করোনা সন্দেহে হাসপাতালের আইসিইউ-এইচডিইউ বন্ধ
বাংলাদেশ
এইচডিইউতে চিকিৎসাধীন এক রোগী মারা যাওয়ার পর চট্টগ্রামের জিইসি এলাকার বেসরকারি 'রয়েল হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেড'র আইসিইউ-এইচডিইউ ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৯ মার্চ দিবাগত রাত ১টার দিকে বিবি মরিয়ম (৩৬) নামে ওই রোগী হাসপাতালে মারা যায়। তার মৃত্যুর পর থেকেই অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে যে চিকিৎসক সেবা দিয়েছেন তাকে কোয়ারেন্টিন মেনে চলার পাশাপাশি আইসিইউ ও এইচডিইউ ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুক্রবার রাত থেকে ইউনিট দুটি বন্ধ হলেও সোমবার থেকে তা প্রকাশ পায়।
রয়েল হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপক নুরুল আমিন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, আমাদের আইসিইউ (ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিট) ও এইচডিইউ (হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে) ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যে চিকিৎসককে ওই রোগীকে সেবা দিয়েছেন তাকেও হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিবি মরিয়মকে ১৯ মার্চ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শ্বাসকষ্ট ছিলো। ওইদিন রাতেই তার মৃত্যু হয়। তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। পরে বিষয়টি সিভিল সার্জন কার্যালয়কে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
বিবি মরিয়মের স্বামী আনসার আলী দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, আমার স্ত্রী শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ডাক্তার তার মৃত্যুর কারণ নিউমোনিয়া বলে জানিয়েছেন।
রয়েল হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক ডা. লিয়াকত আলী খান বলেন, কয়েকদিন আগে একজন রোগীর মৃত্যুর খবর জেনেছি। তবে তিনি করোনায় আক্রান্ত কিনা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে ওই রোগীর মৃত্যুর ব্যাপারে জানিয়েছে। রোগীর কাশি এবং শ্বাসকষ্ট ছিলো। তবে ওই রোগী নিজে এবং তার কোনো আত্মীয়-স্বজন বিদেশ ফেরত ছিলেন না। তাই তার মৃত্যু করোনায় হয়েছে বলে আমরা মনে করছি না। হয়তো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সতর্কতা হিসেবে আইসিইউ-এইচডিইউ সেবা বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিকে হাসপাতালটির ব্যবস্থাপক নুরুল আমিন জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষ শাখার একটি টিম রোববার তাদের হাসপাতালে তদন্ত কার্যক্রম চালিয়েছে।
এ ব্যাপারে নগর পুলিশে বিশেষ শাখার একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা হাসপাতালে গিয়ে তদন্ত করে এসেছি। বিষয়টি তদন্তাধীন।
প্রসঙ্গত, সরকারি হিসেবে চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি।
Comments
While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.