চট্টগ্রামে ওয়েস্টার্ন মেরিনের বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট 
19 April, 2020, 12:55 pm
Last modified: 19 April, 2020, 01:12 pm
এই প্রতিষ্ঠানে ৪শ’ শ্রমিক কাজ করে। গত ৪ মাস ধরে শ্রমিকদের বেতন বন্ধ। এছাড়া গত ১৭ মাস ধরে শ্রমিকদের ওভারটাইম পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রামের জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডে ৪ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা। তাদের অভিযোগ বেতন এবং  ১৭ মাসের বকেয়া ওভারটাইম পরিশোধ না করে সিঙ্গাপুরে চলে গেছেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

শনিবার চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলাধীন কোলগাঁওয়ে অবস্থিত শিপইয়ার্ডের মুল গেইটে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে শ্রমিকরা। 

ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের মেকানিক্যাল লজিস্টিক সেকশনে কমর্রত ঝুলন বড়ুয়া বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে ৪শ' শ্রমিক কাজ করে। গত ৪ মাস ধরে আমাদের বেতন বন্ধ। এছাড়া গত ১৭ মাস ধরে শ্রমিকদের ওভারটাইম পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ। করোনা পরিস্থিতিতেও আমাদের পাওনা না দিয়ে প্রতিষ্ঠানের এমডি দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। 

তিনি আরও বলেন, গত ২৬ মার্চ থেকে শিপইয়ার্ড বন্ধ। সিকিউরিটি গার্ড ছাড়া মালিক পক্ষের কেউ নেই। গত ডিসেম্বর থেকে আমাদের বেতন দেওয়া হচ্ছেনা। মালিক পক্ষকে না পেয়ে আমরা কারখানার গেইটে বিক্ষোভ করতে বাধ্য হয়েছি। 

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানিয়েছেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে যে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছি করোনাভাইরাসের কারনে দূর্যোগ কালীন সময়ে মালিক পক্ষ আমাদের পাশে নেই। আমাদের পাওনাও পরিশোধ করছেনা। এটি কোন ধরনের মানবতা। 

ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ক্যাপ্টেন সোহেল হাসানের মোবাইল নাম্বারে  যোগাযোগ করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়। 

প্রতিষ্ঠানটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মবিনের নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংযোগ রিসিভ করেননি। তবে ওয়েস্টার্ন মেরিনের বানিজ্যিক কর্মকর্তা মো. শাহেদ বলেন লকডাউনের কারণে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা যায়নি। ব্যাংক ঋণ বা অন্য কোন উপায়ে তাদের বেতন পরিশোধের চেষ্টা চলছে। প্রতিষ্ঠানের এমডি প্রাতিষ্ঠানিক কাজে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।

 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.