ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ: সমুদ্রবন্দরে ১ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৩) এ তথ্য জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যেই বঙ্গোপসাগর উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। গভীর নিম্নচাপটি শনিবার সকালে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে উত্তর-অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা উপকূলের মাঝামাঝি কোনো জায়গায় আঘাত হানতে পারে; আসতে পারে বাংলাদেশের দিকেও।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে।
এটি শুক্রবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে আসতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটে সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে এবং তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।